Advertisement
Advertisement

গলায় খাবার আটকে গিয়েছে? প্রাণ বাঁচাতে ব্রহ্মাস্ত্র হোক ‘হেমলিক প্রকৌশল’

ভিডিও-র মাধ্যমে জেনে নিন কৌশল৷

Food stuck in child’s throat! Do this
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 24, 2018 6:16 pm
  • Updated:August 24, 2018 10:39 pm  

গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস:  ঘটনা ১: ১০ নভেম্বর, ২০১৭৷ বিষ্ণুপুরের রাজেন সুরানার ছেলে যুবরাজের গলায় চকোলেট আটকে গিয়েছিল৷ ছটফট করছিল ছেলেটি৷ রাজেনবাবু ওই সময় একটি ভিডিও অনুসরণ করে ছেলের গলায় আটকে যাওয়া চকোলেট বের করে আনেন৷

ঘটনা ২: অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গলায় আলু আটকে শ্বাসরোধ হয়ে গিয়েছিল রোগীর৷ ডাক্তারের নির্দেশ মেনে রোগীর পরিবারই ওই রোগীকে বাঁচিয়ে তোলে৷

Advertisement

ঘটনা ৩: আহমেদাবাদের চিকিৎসক জিগার উপাধ্যায়ও নিজের গলায় আটকে যাওয়া খাবার বের করেছিলেন এই ভিডিও-র কল্যাণে৷

[অটোর দাদাগিরি রুখতে এবার পাঁচ মিনিটে বাস, উল্টোডাঙায় নতুন দাওয়াই]

উপরের তিনটি ক্ষেত্রেই রক্ষাকবচের কাজ করেছে হেমলিক প্রকৌশল৷ এই প্রকৌশলের উপর তৈরি ভিডিও এখনও বাংলা তথা বিশ্বের বহু মানুষকে বাঁচিয়ে চলেছে৷ বিষ্ণুপুরের যুবরাজ বাঁচলেও, পর্ণশ্রীর অনিকেত সাহু বাঁচল না৷ গলায় কলা আটকে দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন’মাসের শিশুটির। পেটে চাপ দিয়ে ফুসফুসের সঞ্চিত বাতাস বের করে দেওয়ার ‘হেমলিক প্রকৌশল’ বাঁচিয়ে দিতে পারত একরত্তিকে। কিন্তু, বাড়ির লোক সেই প্রকৌশল না জানায় অকালে ঝরে যেতে হল দুধের শিশুকে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘হেমলিক টেকনিক’ জানা থাকলে মৃত্যু এড়ানো যেত। ডাক্তার হেমলি ১৯৭৪ সালে এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন৷ নিজের ৯৬ বছর বয়সে তিনি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে ৮৭ বছরের প্যাটি রিস নামে এক মহিলাকে বাঁচিয়ে তোলেন তিনি৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এমবিবিএস-এমডি পাস করা বহু ডাক্তার এই পদ্ধতির কথা জানেন না, এমনটাই জানালেন বাঁকুড়ার তরুণ শিক্ষক সৌম্য সেনগুপ্ত। সৌম্য এই প্রকৌশল নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করেন। সেই সঙ্গে ম্যানিক্যুইন নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত দশটি কর্মশালা করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির রাধানগর শাখার সম্পাদক সৌম্য। তাঁর শেখানো প্রকৌশল দশেরও বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে। এর মধ্যে চারজনই বাঁকুড়ার বাসিন্দা।

[মারণ ‘মোমো’ রুখতে সচেতনতার দাওয়াই পুলিশের]

ওই ইউটিউব ভিডিও-র মাধ্যমে সৌম্য জানান, ১বছরের কমবয়সী কোনও শিশু দুর্ঘটনায় পড়লে শরীরের সামনের দিক দিয়ে একটি হাতে শিশুর গলা ধরে শিশুকে এক হাতের উপর উপুড় করে ধরতে হবে, যাতে শিশুর মাথা শরীর থেকে নিচের দিকে থাকে৷এই অবস্থায় অন্য হাতের তালুর গোড়া দিয়ে শিশুর পিঠে দু’দিকে ত্রিভুজাকৃতি হাড়ের মাঝে পাঁচবার হালকা থাপ্পড় বা ধাক্কা দিতে হবে৷ এতে কাজ না হলে শিশুকে উলটে ঘাড় ধরে চিৎ করে হাতের ওপর রাখতে হবে৷ অন্য হাতের দুই বা তিন আঙুলের ডগা দিয়ে শিশুর বুকের ঠিক মাঝে পাঁচবার চাপ দিতে হবে৷ চাপ দেওয়ার সময় আঙুল প্রায় ১ ইঞ্চি ঢুকে যাবে৷ এতেও শ্বাসক্রিয়া শুরু না হলে, মুখের মধ্যে বের করা যায় এমন কিছু আছে কী না পরীক্ষা করে নিতে হবে৷

[ইউজিসি-র নির্দেশিকা উড়িয়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রমরমিয়ে চলছে জাঙ্ক ফুড]

[ম্যানহোলে লুকিয়ে পালানোর ছক বানচাল, ভয়ের চোটেই জালে বন্দি]

মনে রাখবেন, কঠিন বস্তু বা কণা শ্বাসনালির পথে ঢুকে পড়লে একটা নির্দিষ্ট বিপদসীমা অবধি শরীর তা কাশির মাধ্যমে সামলে নেয়। কিন্তু বিপদসীমা পেরিয়ে গেলেই প্রয়োজন হয় ‘হেমলিক প্রকৌশল’-এর।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement