Advertisement
Advertisement

Breaking News

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসব বিতর্কে চিহ্নিত ৫ ছাত্রছাত্রী, ক্ষমা চাইলেন অভিভাবকরা

বারবারই নিজেদের দোষ অস্বীকার করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীরা।

Some student of Chandannagar College summoned on RBU controversy
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 6, 2020 4:28 pm
  • Updated:March 6, 2020 8:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিঠে লিখেছিল। কিন্তু অশালীন কোনও শব্দ ব্যবহার না করা সত্ত্বেও কেন হেনস্তা করা হচ্ছে? নিরাপত্তা আধিকারিকের তলবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা অভিযুক্ত ছাত্রীর। দাবি, সে যে নির্দোষ তার যথাযোগ্য প্রমাণ নাকি নিরাপত্তা আধিকারিককে দিয়েছে। যারা পিঠে-বুকে গালিগালাজ লিখেছিল তাদের ডাকার দাবিও জানিয়েছে ওই ছাত্রী। যদিও পরে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান অভিভাবকরা। 

বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে। একের পর এক সামনে আসতে থাকে তরুণ-তরুণীদের বুকে, পিঠে অশ্রাব্য গালিগালাজ লেখা ছবি। বিকৃত রবীন্দ্রসংগীতের তালে তালে উদ্দাম নাচের ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। এরপর বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। তাতেই নড়েচড়ে বসে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

Rabindra-Bharati-University

শুক্রবার সকালে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্তে নামে পুলিশ। মোট পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়। তারা প্রত্যেকে চন্দননগরের একটি কলেজের পড়ুয়া। জরুরি ভিত্তিতে রবীন্দ্রভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রছাত্রীরা।

Rabindra-Bharati-University

[আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত’দের পিঠে-বুকেই গালিগালাজ লেখা ছিল! দাবি রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যের]

নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে আসা এক ছাত্রীর দাবি, তার পিঠে ‘বসন্ত এসে গেছে’ লেখা ছিল। তবে তার পিঠে গালিগালাজ লেখা ছিল না। কারও কারও পিঠে যে অশালীন শব্দ লেখা ছিল তা তার জানা বলেও স্বীকার করে ওই ছাত্রী। আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই ছাত্রীর আরও দাবি, যাদের পিঠে লেখা ছিল তাদের না ডেকে বিনা কারণে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। তার পিঠে যে গালিগালাজ লেখা ছিল না নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ দিয়েছে বলেও দাবি ছাত্রীর। যদিও তাতে সন্তুষ্ট হননি নিরাপত্তা আধিকারিক। এরপর মুচলেকা দিয়ে নিজেদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁদের অভিভাবকরা। এমনকী এই ছাত্রীদের পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তাদের নিজেদের কলেজের ছাত্র সংসদও।  এক সদস্যের মতে, যারা রবীন্দ্রভারতীতে গিয়ে বসন্ত উৎসবে রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করে, তার গানে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে, তার দায়িত্ব ওই ছাত্রীদেরই। কলেজের ছাত্র সংসদ কোনও দায়িত্ব নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই সদস্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement