কৃষ্ণকুমার দাস: বৈঠক ছিল শহরের পুজো প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু আলোচনা এসে দাঁড়াল শহরের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে। মঙ্গলবার কলকাতা পুরভবনের বৈঠক থেকে পুরসভার অধীনস্ত ২৬টি রাস্তার বেহাল পরিস্থিতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। নির্দেশ দিলেন, পুজোর আগে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত রাস্তার কাজ (Road repair) শেষ করে ফেলতে হবে। তারপর পুজো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কোভিড আবহে মহালয়ার দিন গঙ্গায় গিয়ে তর্পণের অনুমতি পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে আজকের বৈঠকে পুরমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গঙ্গায় তর্পণে কোনও বাধা নেই আর। ফলে স্বস্তিতে আমজনতা। এই খুশির খবর শোনালেও কলকাতার রাস্তার খারাপ পরিস্থিতি বেশ চাপে রাখছে। কলকাতা পুরসভার অধীনে থাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬টি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুতই শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
দেখা গিয়েছে উত্তর কলকাতার কাশীপুর-বেলগাছিয়া রোডের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খুবই খারাপ। আর দক্ষিণে কালীঘাট ট্রাম ডিপোর সামনের রাস্তায় মাটি বসে গিয়ে গাড়ি চলাচলের বেশ অসুবিধা। অন্যদিকে, বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোড, তারতলার হাইড রোডের অবস্থাও তথৈবচ। কেইআইপির বৃহৎ নিকাশির কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বেহালা (পূর্ব ও পশ্চিম), ঠাকুরপুকুর, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ ওবন্দর এলাকায় বৃষ্টিতে জল জমে থাকছে। গত কয়েক মাস ধীরগতিতে কেইআইপির নির্মাণ কাজ চলা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্য প্রশাসক। কেএমডিএ’র অধীনে থাকা ই-এম বাইপাসের বহু রাস্তাও চলাচলের পক্ষে অসুবিধাজনক একটা দীর্ঘ সময় ধরেই। এগুলো সবই দ্রুত মেরামতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এছাড়া নিকাশি নিয়েও যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে ফেলতে হবে পুজোর আগে, এমনই নির্দেশ তাঁর। তবে
ঠাকুরপুকুরের কাছে হাইড্রেন তৈরির কাজ চলছে। তা শেষ হতে দু’মাস সময় লাগবেই, তাও জানিয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম।
মঙ্গলবার পুরভবনের বৈঠকে কলকাতা পুরসভা ছাড়াও ছিল পূর্তদপ্তর, কেএমডিএ, সিইএসসি, দমকল, বন্দর কর্তৃপক্ষ, HRBC। সেখানে রাস্তার সমস্যা ছাড়াও আলোচনা হয় মহালয়ার প্রস্তুতি, আলো নিয়েও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.