ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।
অভিরূপ দাস: শহরে চলছে হকার সমীক্ষা। বড় রাস্তা শেষ, এবার ১৪৪ টি ওয়ার্ড ধরে ধরে অলিতে গলিতে হবে সমীক্ষা। ১৬ টি বরোতে কাজে নামছে ১১২ টি টিম। প্রতিটি টিমে রয়েছেন ৬ জন। সমীক্ষায় নেমে হকারদের কাছ থেকে তাঁদের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর, প্যান ইত্যাদি সংগ্রহ করছে পুরসভার সমীক্ষক দল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এক হকারের একাধিক জায়গায় ডালা রয়েছে কিনা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এমন ১৮১ জনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যারা একাধিক জায়গায় ব্যবসা করছেন। বুধবার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে টাউন ভেন্ডিং কমিটি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা পাঁচ সদস্যের হাই পাওয়ার কমিটির কাছে। তাঁরাই গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে বেহালায় হকার সমীক্ষা চলাকালীন এক পুরকর্মীকে শারীরিক হেনস্তা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি জানিয়েছেন, “আমি পুরসভাকে নেতৃত্ব দিই। একজন পুরকর্মীর গায়ে হাত তোলা আমার গায়ে হাত তোলার সমান।”
ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার কলকাতা পুরসভায় টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক বসে। যেখানে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পুর কমিশনার ছাড়াও হাজির ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। কী আলোচনা হল বৈঠকে? পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭৩ টি এমন অভিযোগ এসেছে যেখানে হকাররা রাস্তা দখল করে রয়েছেন। সেই অভিযোগ গুলি খতিয়ে দেখছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। আলোচনায় উঠে এসছে আরও একটি বিষয়। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ বলে কিছু থানা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হকার উচ্ছেদ করছে।
হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির পক্ষ থেকে অসিতকুমার সাহা জানিয়েছেন, টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে অন্ধকারে রেখে কোনও হকার উচ্ছেদ চলতে পারে না। সূত্রের খবর পার্ক স্ট্রিট থানা, নিউ মার্কেট থানা আর মুচিপাড়া থানার নাম জড়িয়ছে এই অতি সক্রিয়তায়। এই ঘটনায় লালবাজারে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিচ্ছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি। সেখানে জানতে চাওয়া হবে টিভিসিকে অন্ধকারে রেখে কার নির্দেশে হকার উচ্ছেদ চলছে? বাট্রাম স্ট্রিটে ৫০ জন হকার রাস্তায় বসে। তাদের রাস্তা থেকে তুলে অন্যত্র কোথায় জায়গা দেওয়া যায় তা দেখছে টাউন ভেন্ডিং কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.