Advertisement
Advertisement
Firhad Hakim

জলাশয় ভরাট নিয়ে পুলিশ অভিযোগ না নিলে বিধায়কের কাছে যান, নিদান ফিরহাদের

অসাধু প্রোমোটারদের ঠেকাতে এবার পুকুরের হিসেব নিজের নখদর্পণে রাখবেন মেয়র।

Firhad Hakim opens up on water body filling up in Kolkata | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 31, 2023 10:51 am
  • Updated:December 31, 2023 10:51 am  

অভিরূপ দাস: সাতদিনের মধ্যে বেরল রিপোর্ট। কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরোয় রয়েছে ৪৩২টি পুকুর। শনিবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গার্ডেনরিচ এলাকায় এই প্রতিটি পুকুরের প্রেমিসেস নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো বোজানোর চেষ্টা করলে কড়া ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধুমাত্র গার্ডেনরিচ এলাকার এই বরো-ই নয়। এভাবে ধীরে ধীরে কলকাতার প্রতিটি বরোর পুকুরের হিসেব বের করবে পুরসভা। অসাধু প্রোমোটারদের ঠেকাতে এবার পুকুরের হিসেব নিজের নখদর্পণে রাখবেন মেয়র।

সম্প্রতি জলাভূমি ভরাট মামলায় কলকাতা পুরসভাকে জরিমানা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। গার্ডেনরিচ এলাকায় একাধিক জলাশয় ভরাটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেয়রও। এলাকার ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, দ্রুত ওই এলাকার পুকুরের হিসেব বের করতে হবে। কোনওভাবেই চোরাগোপ্তা জলাশয় ভরাট বরদাস্ত করা হবে না। সেই মতো এদিন পুরসভায় হিসেব দিয়ে মেয়র জানান, ৪৩২টা পুকুর আছে বরো ১৫-তে। তার মধ্যে নটা পুকুর আছে ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আছে একটা পুকুর। ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আছে তেরোটা পুকুর। ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে আছে ২১ টা পুকুর। বরোর সবচেয়ে বেশি পুকুর রয়েছে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সেখানে জলাশয়ের সংখ‌্যা ১৫৬টি।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘মা, আমি কি VIP?’, তৈমুরের অবুঝ প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন করিনা?]

এদিন মেয়র জানিয়েছেন, বাম আমলে এই বরোতে সাড়ে চারশো পুকুর বোজানো হয়েছে। একের পর এক জলাশয় বোজানোর ঘটনায় চিন্তিত মেয়র। বলেছেন, ‘‘যেভাবে জলাশয় বোজানো হচ্ছে, আমার হতাশা এসে যাচ্ছে।’’ এদিন জলাশয় ভরাট নিয়ে সাধারণ মানুষের একাংশের উদাসিনতাকেই দুষেছেন তিনি। ফিরহাদের কথায়, ‘‘পুলিশ দিয়ে পুকুর ভরাট আটকানো যায় না। মানুষকে বুঝতে হবে একটা পুকুর থাকা মানে আমার এলাকায় জীববৈচিত্র্য বজায় আছে। আমি একটা সুস্থ সুন্দর পরিবেশে বাস করছি। যতক্ষণ না মানুষের মধ্যে এই চেতনা আসবে ততক্ষণ হাজার চেষ্টা করেও কিছু করতে পারব না।’’

একাধিক ক্ষেত্রে অসাধু প্রোমোটারের সঙ্গে পুলিশের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগ আসে। বাসিন্দারা জানান, জলাশয় ভরাটের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও লাভ হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ জানিয়েছেন, পুলিশ যদি অভিযোগ না নেয় স্থানীয় বিধায়কের কাছে যান।

[আরও পড়ুন: ‘তু মেরা হিরো…’! বছরশেষে রাজকে বগলদাবা করে শুভশ্রীর প্রেম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement