ছবি: প্রতীকী।
গৌতম ব্রহ্ম: বর্ষশেষে উৎসবের আনন্দে গা ভাসিয়েছে আপামর রাজ্যবাসী। পুরনোকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নানা পরিকল্পনাও প্রায় তৈরি। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হবে আর ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে বাজি ফাটবে না, ডিজে বাজবে না তা যেন অসম্ভব ব্যাপার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। তার ফলে সহ্যের সীমা হারায় সাধারণ মানুষের। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবার শব্দবাজি এবং শব্দদূষণ রুখতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি রাজ্যে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। বাজানো যাবে না ডিজে-ও। বিধিভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে নেওয়া হতে পারে আইনানুগ ব্যবস্থাও।
বুধবার মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে ১১টা শব্দদূষণে যাতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ না হয়ে ওঠে সেদিকে নজর রাখতে হবে। নিষিদ্ধ যেকোনও ধরনের শব্দবাজি। ডিজে’র উপরেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কেউ বিধিভঙ্গ করছে কিনা, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে পুলিশকে। প্রত্যেকটি এলাকার কোন কোন জায়গা থেকে ডিজে ভাড়া দেওয়া হয়, তার বিস্তারিত রিপোর্টও ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেকটি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত জয়ের পরেও দেদার বাজতে থাকে শব্দবাজি। তার ফলে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। ৩১ ডিসেম্বর কিংবা ১ জানুয়ারিও একই সমস্যা ভোগ করতে হবে বলেই আশঙ্কা শহরের প্রবীণ নাগরিকদের। তাই দিনকয়েক আগে শব্দতাণ্ডবের হাত থেকে রক্ষার আরজি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠান কলকাতার বিশিষ্ট প্রবীণ নাগরিকরা।
আতসবাজি, শব্দবাজি, মিউজিক সিস্টেম, লাউডস্পিকার যথেচ্ছ ব্যবহারে ফলে শব্দদূষণের আশঙ্কার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেন তাঁরা। শব্দদূষণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার আরজিও জানান তাঁরা। বুধবার সেই চিঠি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি জানান, সকলেরই চিঠি লেখার অধিকার রয়েছে। তবে তাঁর এখনও চিঠি পড়া হয়নি। তাই এ বিষয়ে কিছুই সেভাবে বলেননি মন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.