রমেন দাস: ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল গড়িয়াহাটের কয়েকটি ঝুপড়ি। শুক্রবার সন্ধেবেলা কাকুলিয়া বসতিতে অগ্নিকাণ্ডে ছাদ হারিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন দ্রুত সেখানে ছুটে যায়। সর্বশক্তি নিয়ে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দমকল কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে লেলিহান অগ্নিশিখা গ্রাস করে ফেলেছে বসতির আশেপাশের অন্তত ৮টি বাড়ি। ছাদহীন বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে বাড়িগুলি নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কী কারণে এত বড় অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে নেমেছে দমকল বিভাগ।
ঘড়িতে সন্ধে প্রায় সাড়ে সাতটা। গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডের পাশের একটি বসতিতে আগুন লেগে যায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে পড়ে তা। তাঁরা নিজেরাই তৎপর হয়ে আগুন নেভানোর কাজে নামেন। তবে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হলে সাতটি ইঞ্জিন ছুটে যায়। ঘিঞ্জি এলাকায় দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুড়ে খাক ৮টি বাড়ি।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, বসতিতে সিলিন্ডার ফেটে এত বড় অগ্নিকাণ্ড। তবে কারও কারও মতে, ঘরের ভিতরে প্রদীপ-ধূপ জ্বালানোর কারণেই আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এনিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি দমকল আধিকারিকরা। তদন্ত রিপোর্টেই আসল কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য তাঁদের। সুরক্ষার স্বার্থে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বসতি লাগোয়া রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে সন্ধের ব্যস্ত সময়ে দক্ষিণ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট তৈরি হয়। তবে প্রাণহানির কোনও খবর নেই। এই ঘটনায় ফের বসতি এলাকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা প্রশ্ন উঠে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.