ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী কলকাতার বসতি এলাকা। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দশা দমকল কর্মীদের। নারকেলডাঙা মেন রোডের ছাগলপট্টির ঘটনায় প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন তাঁরা। আগুনের উৎস নিয়ে এখনও অন্ধকারে সকলে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে সেখানে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)।
ঘড়ির কাঁটা প্রায় ৫ টা ছুঁইছুঁই। সবে ঘুম ভাঙছে শহরবাসীর। রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের দিন নারকেলডাঙার (Narkeldanga) ছাগলপট্টিতেও তেমন ব্যস্ততা নেই। ঘুম থেকে ধীরে ধীরে উঠছিলেন সকলে। আচমকাই নজরে পড়ে, দাউদাউ আগুন জ্বলছে বসতিতে। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় অন্তত ২৫টি ঝুপড়ি। কার্যত সর্বহারা হয়ে পড়েন বসতিবাসী। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রথমে বসতি লাগোয়া খাল থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু লাভ হয়নি। প্লাস্টিকে ঢাকা বসতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে দমকলের আরও ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
দমকল আধিকারিক অসীম সরকার জানান যে অতি দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে দমকল কাজ করায় ক্ষতি কিছুটা আটকানো গিয়েছে। নইলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হত বলে মনে করা হচ্ছে। দমকলের দাবি, ২০টি ঝুপড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। তবে বসতিবাসীর মতে, অন্তত ৫০টি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে। নারকেলডাঙার ছাগলপট্টিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সকালেই সেখানে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দাদের পরিবার পিছু একটি করে ত্রিপল তুলে দেন তিনি। আজ তাঁদের খাবারের ব্যবস্থাও করেন।
কীভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়ে দমকল মন্ত্রী কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান যে তদন্ত করেই বোঝা যাবে, আগুন উৎস। আর সেই আগুনেই মাথার ছাদই শুধু নয়, সবকিছুই প্রায় হারালেন ২৫টি ঝুপড়ির বাসিন্দারা। খোলা আকাশের নিচে বসে সর্বহারা মানুষগুলোর এখন ভাবনা, কীভাবে ফের সব কিছু গুছিয়ে নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.