সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদন মিত্রের (Madan Mitra) ভবানীপুরের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার সকালের দিকে তাঁর বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নিমেষের মধ্যে। তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় দমকলে। ৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ভবানীপুরে তৃণমূল বিধায়কের শতাব্দীপ্রাচীন বাড়ির একতলাটি পুড়ে গিয়েছে। যদিও প্রাণহানির কোনও খবর নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কে অসুস্থ হওয়ার পর মদন মিত্রকে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়। তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তার মধ্যেই তিনি বলেন, ”কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলাম।”
সকালে ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। আচমকাই ভবানীপুরে (Bhabanipur) মদন মিত্রর বাসভবনে আগুন লাগে। সেসময় তিনি নিজে দোতলায় ছিলেন। ধোঁয়া দেখে প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন, পাড়ার অন্য কোনও বাড়িতে আগুন লেগেছে। কিন্তু তারপরই বুঝতে পারেন, নিজের বাড়িতেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বন্ধু তথা দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করে সাহায্য চান। সুজিত বসুও তৎপরতার সঙ্গে দমকল বিভাগে যোগাযোগ করে ইঞ্জিন পাঠান। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রতিবেশীরা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তবে একতলাটি পুড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে মদন মিত্র বলেন, ”জিনিসপত্রের কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জানি না। তবে প্রাণে যে বাঁচলাম, এটাই এখন ভাগ্যের ব্যাপার মনে হচ্ছে। কোনও প্রাণহানি হয়নি। সবাই নিরাপদে রয়েছে। সকলকে ধন্যবাদ, আমার বিপদে এভাবে ছুটে এসে সাহায্যের জন্য। বিশেষত রাজ্য সরকার, সুজিত বসু এবং আমার প্রতিবেশীদের।”
আগুন নেভানোর পর প্রাথমিকভাবে দমকলের তরফে জানানো হয়, একতলায় শোয়ার ঘরের সোফায় আগুন লাগে। সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তা বিপজ্জনক হতে পারত। কিন্তু দমকল কর্মীদের তৎপরতায় তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান যে নাতিকে নিয়ে চিন্তা ছিল। কারণ, নাতি যেখানে ছিল, আগুনের উৎসস্থল তার থেকে বেশি দূরে নয়। তাই তড়িঘড়ি বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যকে বাইরে বের করে আনার নির্দেশ দেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। যদিও খুব কম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা মিলেছে বলে তিনি বারবার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.