Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইমাম বরকতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের

বরকতির দাবি, তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে লালবাতি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন।

FIR filed against Maulana Nurur Rehman Imam Barkati in Topsia
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2017 3:54 am
  • Updated:May 12, 2017 3:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আইন অমান্য করার অভিযোগে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম নূর-উর রহমান বরকতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল তপসিয়ায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই খবর মিলেছে। নয়া কেন্দ্রীয় নিয়মকে অগ্রাহ্য করে গত মঙ্গলবার বরকতি দাবি করেন, তিনি লালবাতি লাগানো গাড়িতেই ঘুরবেন। কারণ, এ রাজ্যে কেন্দ্রের আইন চলে না। তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছেন। মোদির জন্য তিনি গাড়ি থেকে লালবাতি সরাবেন না।

এখানেই থেমে না থেকে কলকাতার ইমাম বরকতি আরও দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ার কথা জানেন। কিন্তু তিনি আপত্তি করেননি। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে ঘুরে বে়ড়ানোর জন্য বরকতিকে গ্রেপ্তার করার দাবি তোলে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-কে তাঁর একান্ত প্রতিক্রিয়ায় জানান, বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার জন্যই বরকতিকে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগে বরকতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন, ভারত-বিরোধী বক্তব্য প্রকাশ্যে পেশ করেন বলে অভিযোগ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত হুঙ্কার দিয়ে জানায়, প্রশাসন ও পুলিশ বরকতিকে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তাঁরাই ওই সংখ্যালঘু নেতাকে তুলে লালবাজারে দিয়ে আসবেন।

[গাড়ি চালিয়ে সনিকাকে নিয়ে রাজডাঙায় কেন গিয়েছিলেন বিক্রম?]

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অকারণে বিজেপি নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করছে রাজ্য সরকার। মিথ্যা মামলায় তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রামনবমীতে অস্ত্র হাতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করলেও পুলিশ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। অথচ মহরমে এমনটা করে না কেন পুলিশ, প্রশ্ন লকেটের। গত বুধবার রায়গঞ্জে হেলমেট ছাড়াই দলের রাজ্য নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে বসিয়ে বাইক চালান দিলীপ ঘোষ৷ হেলমেট না থাকায় পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে৷ সে প্রসঙ্গে লকেটের মন্তব্য “টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম তাঁর গাড়ির লালবাতি খুললে আমরা হেলমেট পরে বাইক চালাব৷” লালবাতি নিয়ে ইমাম বরকতির প্রসঙ্গ তুলে এমন মন্তব্য করে হেলমেট বিতর্কে চাপান-উতোর বাড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা৷

[বরকতিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৫ মে লালবাজার অভিযান বিজেপির]

বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় বৌদ্ধ সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধেই অসহিষ্ণুতার কড়া অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যেখানে মহারাষ্ট্র পারে না, ভয় পায়৷ বিহার-ওড়িশা পারে না৷ সেখানে বাংলা কখনও চুপ করে থাকবে না৷ বাংলাই গোটা দেশকে নেতৃত্ব দেবে৷ গোটা দেশকে জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত করবে বাংলা৷” বিজেপি-বিরোধী মঞ্চে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী৷ বললেন, “ছদ্মবেশী ধর্মের নামে যারা ধর্মকে অশ্রদ্ধা করে, তারা ধর্মের কলঙ্কিত রূপ৷ হিন্দুত্বের নামে তারা নকল ধর্মের কথা বলে৷ তাদের আমি ধর্মনিরপেক্ষ ভাবি না৷” বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, “ধর্ম মানে রাজনীতির নামে কুকর্ম করা নয়৷ ধর্ম মানে মানুষ মারার কসাইখানাও নয়৷ ধর্ম মানে বিশ্বাস, ধর্ম মানে ভালবাসা, ধর্ম মানে মানবতা, ধর্ম মানে হিংসা-দ্বেষ দূর করা৷ মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সেটাই বড় কথা৷” বিজেপিকে এদিনও দাঙ্গাবাজদের পার্টি বলে আক্রমণ করেন মমতা৷ বলেন, “সরকার সবসময় মানুষের জন্য হয়৷ তা দাঙ্গাবাজদের সরকার নয়৷ দিল্লি যতই ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করুক, উই ডোন্ট কেয়ার৷” অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার সমালোচনা করেন মমতা৷ তাঁর কথায়, “ধর্ম মানে হৃদয়ে দেবতাকে উপলব্ধি৷ ধর্ম মানে দেবতাকে মাটিতে ফেলে দেওয়া নয়৷ ধর্ম মানে দেবতাকে হৃদয়ে রাখা৷ ধর্ম মানে তরোয়াল নিয়ে রাস্তায় নেচে লোককে ভয় দেখানো নয়৷ ধর্ম মানে অন্য ধর্মকে ভালবাসা৷ অন্য ধর্মকে অশ্রদ্ধা করা নয়৷”

[সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কুরুচিকর আক্রমণের নিন্দায় মুখ্যমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement