ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানায় এফআইআর করেছেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনার দিন পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মীদের তালিকা-সহ প্রযুক্তিগত বিষয়েও মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন তদন্তকারীরা। এদিকে মেট্রো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নামলেন শহরের নাট্যকর্মীদের একাংশ। রবিবার সকালে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের সামনে জমায়েত করেন তাঁরা। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দিতে গেলে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ।
মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা তো হামেশাই ঘটে। কারও প্রাণ যায়, কেউ কেউ আবার বেঁচেও যান। কিন্তু পাতালপথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীর প্রাণহানি? অন্তত কলকাতায় মেট্রোয় আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। সেই মর্মান্তিক ঘটনাটাই ঘটে গেল শনিবার। সন্ধেবেলা পার্ক স্ট্রিট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে গিয়ে মেট্রোর দরজার হাত আটকে যায় সজল কুমার কাঞ্জিলাল নামে ওই ব্যক্তির। দরজা তো খোলেইনি, উলটে ওই অবস্থায় মেট্রোটি চলতে শুরু করে। খানিক দূর যাওয়ার পর শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে মেট্রোর থার্ড লাইনে পড়ে যান তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কসবার বোসপুকুরে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন সজলবাবু। লিটল ম্যাগাজিন ও নাটকের বই বিক্রি করতেন তিনি। পরিচিত মুখ ছিলেন রবীন্দ্রসদন ও নন্দন চত্বরে। মেট্রোয় দুর্ঘটনায় সজল কুমার কাঞ্জিলালের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না শহরের নাট্যকর্মীদের একাংশ। রবিবার সকালে পার্কস্ট্রিট স্টেশনে সামনে জমায়েত করে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা নাট্যকর্মীদের স্টেশনে ঢুকতে দেননি। এদিকে মেট্রোর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সজল কুমার কাঞ্জিলালের পরিবারের লোকেরা। শুধু ঘটনার দিন পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মীদের তালিকাই নয়, মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে কামরার দরজা কীভাবে বন্ধ হয়? চালকের ভূমিকা কী? তাও জানতে চেয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষও। অভিশপ্ত মেট্রোর চালক, গার্ড ও লোকো ইন্সপেক্টরের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে চালক ও গার্ডকে।
ছবি: শুভাশিস রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.