ছবি: প্রতীকী।
গোবিন্দ রায়: হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp) করে টাকা চাইছেন খোদ পদস্থ পুলিশ কর্তা! দিন কয়েক ধরে এমনই অভিযোগে হুলুস্থুল পরে গিয়েছিল গোটা পুলিশ মহলে। শুধু তাই নয়, ওই পুলিশ কর্তার অ্যাকাউন্ট থেকে সামাজিক মাধ্যমে যাদের কাছে মেসেজ গিয়েছিল বিভ্রান্তিতে পড়েন তাঁরাও। ঘটনার তদন্তে নেমে এক মাসেই আন্তঃরাজ্য প্রতারণার পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিশের সাইবার থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার অনলাইনে প্রতারণায় আন্তর্জাতিক চক্রের এক সদস্যকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের সাইবার থানার গোয়েন্দারা। ধৃত রুপম গোস্বামীকে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের এক পুলিশ কর্তার ছবি ব্যবহার করে একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হতো। সাহায্য চেয়ে বলা হতো, “খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি। সাহায্য পেলে উপকৃত হব।” এমনই বলে করো থেকে দশ হাজার, কারও থেকে বিশ হাজার, কারও থেকে ত্রিশ হাজার, এরকম কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে আমজনতা থেকে পুলিশও। অভিযোগ পেয়ে গত মাসে ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক বার এই রকম প্রতারণার ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। কিছুদিন আগেই কলকাতা শহরে এমনই এক ভুয়ো পুলিশের খোঁজ মেলে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয় সিকিমের দুই বাসিন্দা সহ ৪ জনকে। উদ্ধার একটি হয় বোলোরো গাড়ি, ডাক্তারের সিলমোহর ও কিছু কাগজপত্র। তারও আগে পুলিশ কর্তার নামে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল খুলে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশ থেকে চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে এ রাজ্যের পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.