Advertisement
Advertisement
Lockdown

লকডাউনে অমিল গাড়ি, মাত্র ৩০ সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছনোয় পরীক্ষা দিতে পারলেন না পড়ুয়ারা

আজ সল্টলেকের এক কেন্দ্রে বিদেশে ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল।

Few students fail to appear in foreign medical entrance exam due to lockdown

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 31, 2020 2:49 pm
  • Updated:August 31, 2020 2:51 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: রাজ্যে আজই সম্পূর্ণ লকডাউনের শেষ দিন। তবে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়ার জন্য অনলাইনে পরীক্ষা হয়েছে। সল্টলেক (Salt Lake) সেক্টর ফাইভের TCS ক্যাম্পাসে গিয়ে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার কথা। অথচ লকডাউনের শহরে একাধিক বাধা পেরিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে কয়েক মুহূর্তে দেরি। আর তাতেই বাতিল হয়ে গেল মেডিক্যাল এন্ট্রান্সের পরীক্ষা। বেশ কয়েকজন পডুয়া পরীক্ষা দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ। 

প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার সুযোগ। এই প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব থাকে ন্যাশনাল বোর্ডের উপর। তারাই দিনক্ষণ স্থির করেন। সেইমতো অনেক আগে থেকেই ৩১ আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনে পূর্বাঞ্চলের প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের টিসিএস গীতবিতান ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সেইমতো আগে থেকে শহরে পৌঁছেছিলেন বিহার, উত্তরপ্রদেশের পরীক্ষার্থীরা। এসেছিলেন এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীরাও। কিন্তু আজ রাজ্যজুড়ে লকডাউন (Complete Lockdown)। ফলে পথে হাজারও বাধা পেরিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা ছিলই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রথম পুলিশ দিবস পালনের তোড়জোড়, করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে লালবাজারে]

সেই দুশ্চিন্তারই প্রতিফলন ঘটল বাস্তবে। দুটি শিফটে – সকাল ৯টা থেকে এবং বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু। জনা ছয়েক পরীক্ষার্থী যখন সেক্টর ফাইভের গীতবিতান ক্যাম্পাসে পৌঁছন, তখন ঘড়ির কাঁটা ৯টা বেজে ৩০ সেকেন্ড এগিয়েছে মাত্র। সেই ৩০ সেকেন্ড দেরির জন্য তাঁদের পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে এবছরের মতো বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন ৬ জন। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার হলে আধঘণ্টা আগে প্রবেশ করতে হয়। দেরিতে গেলে কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ মেলে না। কিন্তু লকডাউনে সেই বাঁধাধরা নিয়ম একবিন্দুও শিথিল করতে চাইলেন না পরীক্ষকরা।

[আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার করোনার থাবা! কলকাতার একই ওয়ার্ডের ৬ জনের ফের সংক্রমণ বাড়াল উদ্বেগ]

বঞ্চিত হওয়া পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা ৩০ সেকেন্ড দেরিতে পৌঁছলেও তখনও পরীক্ষা শুরু হয়নি। নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ না থাকলে তাঁরা অনায়াসে সেসময় পরীক্ষায় বসতে পারতেন। কিন্তু সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলে গীতবিতান ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভও শুরু করেন ৬ জন। পরে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পরীক্ষার্থীদের আক্ষেপ, স্রেফ রাজ্যে পূর্ণ লকডাউনের জন্য এবছর তাঁদের বিদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement