ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বললেও সারছে না রেফার রোগ। এবার রেফার রোগের শিকার ২৪ দিনের শিশু অলিপ শেখ। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসএসকেএম হয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। ২৪ দিনের শিশুকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরছিলেন বাবা-মা। স্বাস্থ্যদপ্তরে খবর যেতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী। তাঁর নির্দেশ পেয়েই দ্রুত ভরতি নেওয়া হয়েছে শিশুটিকে।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল শেখ। মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাঁর স্ত্রী রূপালি খাতুন ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে সিজার হওয়ার পরেই চিকিৎসকরা দেখেন, সদ্যোজাতর প্রস্রাবের জায়গায় সমস্যা রয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য শিশুটিকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে পাঁচ দিন আইসিইউতে ছিল অলিপ। অস্ত্রোপচার হয়নি। কলকাতার কোনও মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার নিদান দেন চিকিৎসকরা। এরপর নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে। বেড মেলেনি।
বাধ্য হয়েই শিশুকে নিয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে দৌঁড়ায় পরিবার। সেখানেও চিকিৎসা না মেলায় এসএসকেএম হাসপাতাল। প্রস্রাবের জায়গায় সমস্যা থাকায় ক্যাথিটার লাগানো ছিল শিশুটির। ওই অবস্থাতেই প্রস্রাব করছিল সে। এসএসকেএম-এ অস্ত্রোপচার না হওয়ায় ফের নীলরতনে আসে পরিবার। টানা ২৪ দিন ধরে দৌড়াদৌড়ি করে ক্লান্ত অলিপের মা-বাবা। যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতাল থেকে ‘রেফার-রোগ’ নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একাধিকবার তিনি জানিয়েছেন, রেফার বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছেন, কোনওভাবেই মুমূর্ষু রোগীকে রেফার করা যাবে না৷ মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, যদি কথায় কথায় জেলা থেকে কলকাতায় রোগী ‘রেফার’ করা হয়, তা হলে জেলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে কী লাভ হল! অলিপের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে স্বাস্থ্যভবন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের সুপার জানিয়েছেন, কেন শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শেষ খবর অনুযায়ী নীলরতনে চিকিৎসা শুরু হয়েছে অলিপের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.