কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে চেয়ে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) নিয়ে জটিলতা। বাগুইআটির (Baguiati) এক বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতির জেরে ধুন্ধুমার। নার্সিংহোমের মহিলা আধিকারিক-সহ ১৬ জনের উপর হামলার অভিযোগ। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর পেয়ে বাগুইআটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগীকে দায়িত্ব নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার দমদমের (DumDum) বান্ধবনগরের বাসিন্দা বছর ষাটের বাবলু চন্দকে ভরতি করা হয় বাগুইআটির বেসরকারি নার্সিংহোম নিউ লাইফে (New Life)। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। এছাড়া হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। পরিস্থিতি বুঝে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের কথা বলেন। সেইমতো শনিবার সকালে তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে নার্সিংহোমে আসেন। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রোগীকে ছাড়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন আচমকাই অ্যাম্বুল্যান্সটি চলে যায়। তা নিয়েই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেন, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষই রোগীকে ছাড়বে না বলে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দু’পক্ষের বাদানুবাদে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নিউ লাইফ নার্সিংহোমের জেনারেল ম্যানেজার রাজারাম ভুঁইঞার অভিযোগ, রোগীর পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের উসকানিতেই নাকি অ্যাম্বুল্যান্সটি ফিরে গিয়েছে। এই অভিযোগ তুলে তাঁরা তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেন। হাসপাতালের অন্যতম কর্ণধার ঝুমা ঠাকুর-সহ ১৬ জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ জানান তিনি। নার্সিংহোমের ভিতরেও ভাঙচুর চলে। নার্সিংহোমের মালিক সুমন্ত্র ঠাকুরের অভিযোগ, রোগীর পরিবার তিরিশ হাজার টাকা বকেয়া রেখে, ঝামেলার সুযোগ নিয়ে চলে গিয়েছে। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অশান্তি থামায়। এরপর নিউ লাইফের তরফে নিজেদের অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনা নিয়ে রোগী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.