ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: খাস কলকাতার (Kolkata) থানায় পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে উত্তাল আমহার্স্ট স্ট্রিট। প্রতিবাদে ভাইফোঁটার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে চলছে বিক্ষোভ। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনে রাস্তায় নেমেছে মৃতের পরিবার পরিজন। সিবিআই তদন্তের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিক্ষোভের জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে পালটা পুলিশের দাবি, চুরির মোবাইল ফোন জমা দিতে থানায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা কর হয়। যুবককে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। মারধরও করা হয়নি।
অভিযোগ, দিন কয়েক আগে একটি মোবাইল কিনেছিলেন ওই যুবক অশোক সিং। এর কিছুদিন পরই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে ফোন করে মোবাইল ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জানানো হয়েছিল, এটা চুরির মোবাইল। এদিন সেই সূত্রেই থানায় এসেছিলেন অশোক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপি নেতা মদন গুপ্ত তাঁকে থানায় যেতে বলেছিলেন এদিন। পুলিশ সূত্রে খবর, থানায় কথা বলতে বলতে আচমকাই খিঁচুনি শুরু হয় তাঁর। থানার মধ্যেই জ্ঞান হারান। তখনই থানার পুলিশরা তাঁকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তখন তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই হাসপাতালের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার-পরিজন। শুরু হয় বিক্ষোভ।
পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ দাবি করেছেন, “পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। থানার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত করতে হবে। কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাতে হবে দেহর। যদিও এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।” রাস্তা খালি করার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করছে তারা। পুলিশের দাবি, চুরির মোবাইল ফেরত দিতে এসেছিলেন যুবক। সেখানে অসুস্থ হয়ে যান তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। মারধরও করা হয়নি। অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.