ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নামে প্রতারণা। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ। এর আগেও শহরের কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। একাধিক থানায় এই বিষয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এবার কসবা থানায় ফের একই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হল।
পুলিশ জানিয়েছে, কসবার বোসপুকুর এলাকার বাসিন্দা পার্থপ্রতিম সুরের অভিযোগ, গত বছর তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ট্যুর অপারেটর হিসাবে তিনি সাউথ ঢাকুরিয়ার গড়িয়াহাট রোডে একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সংস্থাও তাঁদের বেড়ানোর ব্যবস্থা করবে বলে জানায়। বিমানের টিকিট ও অন্যান্য খরচ বাবদ তাঁকে আগাম টাকা দিতে বলা হয়। সেইমতো গত ডিসেম্বর মাসে তিনি ওই সংস্থাটিকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। সংস্থাটির নামেই চেক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যাওয়ার দিন এগিয়ে আসে। তবুও সংস্থাটির পক্ষে টিকিট দেওয়ার নাম নেই। কোনও কাগজপত্রও দিচ্ছে না তারা। তাঁদের যাওয়ার দিন পিছোতে বলা হয়। কিন্তু এর পরও তাঁরা টিকিট ও কোনও কাগজ পাননি। অভিযোগকারী তাঁর টাকা ফেরত চান। কিন্তু সেই টাকাও তাঁকে দেওয়া হয়নি। এরপরই তিনি কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার নাম করে ১৩ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠল চার যুবক-যুবতীর বিরুদ্ধে। দুই যুবক ও দুই যুবতী নিজেদের একটি নামী ঋণদাতা সংস্থার কর্মী বলে দাবি করেছিলেন। এই বিষয়ে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক-যুুবতীদের সঙ্গে গড়ফার গৌরাঙ্গ সরণির এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। তাঁরা তাঁকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ পাইয়ে দেবেন বলে জানান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁরা তাঁকে জানান, ওই টাকা তিনি পাবেন। কিন্তু তার জন্য তাঁকে আপাতত ১৩ লাখ টাকা জমা রাখতে হবে। ওই ঋণের টাকার সঙ্গে তিনি ওই জমা রাখা টাকাও ফেরত পেয়ে যাবেন বলে জানান। কয়েক দফায় তিনি ওই ১৩ লাখ টাকা জমা দেন। কয়েক মাস পর দেখতে পান, ঋণের বদলে কয়েকটি বিমার কাগজপত্র এসেছে। সেই বিমার কাগজপত্রগুলিতে তাঁর সই রয়েছে। অথচ অভিযোগকারীর দাবি, তিনি আদৌ সইগুলি করেননি। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর সই জাল করে বিমার কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। ওই যুবক-যুবতীরা নিজেদের উন্নতির জন্য তাঁকে নগদ টাকা ফেরত দেওয়ার বদলে ওই টাকা মূল্যের বিমার কাগজ দিয়েছে। অথচ ওই বিমার কাগজ র প্রয়োজন নেই। তিনি টাকা দাবি করার জন্য ওই চারজনের মোবাইলেই ফোন করেন। কিন্তু চারজনেরই মোবাইল বন্ধ। এর পরই তিনি ১৩ লাখ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত ওই চারজনকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.