সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: রাত দশটা থেকে সকাল ছ’টা – এই সময়ের মধ্যে কলকাতার রাস্তায় একাকী মহিলাকে একেবারে নিখরচায়, নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবে পুলিশ। বিজ্ঞাপনটা ছিল এমনই। সেইসঙ্গে ছিল জরুরিকালীন দু’টি ফোন নম্বর। বলা হয়েছিল, রাতের শহরে যদি কোনও মহিলা একা গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য যানবাহন কিছু না পান, তাহলে ওই দু’টি নম্বরে ফোন করে কলকাতা পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেই তাঁরা ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হবেন। এক্কেবারে বিনামূল্যে মহিলা যাত্রীকে পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁর ঠিকানায়। সোশ্যাল মিডিয়া এই পোস্ট ভাইরাল হতেই পালটা বিবৃতি দিয়ে কলকাতা পুলিশ সাফ জানিয়ে দিল, এমন কোনও কর্মসূচি তাদের নেই। নিখরচায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ায় বিজ্ঞাপনে একেবারেই মিথ্যে। বরং তারা সবসময়েই নারীদের সুরক্ষায় অত্যন্ত তৎপর।
কলকাতা শহরে নারী নিরাপত্তার জন্য পুলিশের তরফে টোল ফ্রি নম্বর – ১০০ চালু হয়েছে বহুদিন। কেউ বিপদে বা সমস্যায় পড়লে এই নম্বরে ডায়াল করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাহায্য চাইতে পারেন। এবং এই নিদর্শন রয়েছে যে ফোন পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিপদগ্রস্ত মহিলাকে উদ্ধার করেছে। কুকর্মের জন্য ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে দুষ্কৃতী। ১০০ নম্বরটি এখন মহিলাদের ভরসা বাড়িয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশও বেশ দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছে।
আর পুলিশের এই সাফল্যকে হাতিয়ার করেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়ে পড়ল। রাতের শহরে একাকী মহিলাকে বিনামূল্যে গাড়ি করে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে কলকাতা পুলিশের একটি দল। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রচার বলে পালটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। এ ধরনের কোনও প্রকল্পই নেই কলকাতা পুলিশের। ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে – গতকাল থেকে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, যা কলকাতা পুলিশের নামে। যে পোস্টে পুলিশের একটি বিশেষ প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা সর্বৈব মিথ্যে। কলকাতা পুলিশ সর্বক্ষণ বিপদগ্রস্ত মানুষজনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কোনও সমস্যায় পড়লে ১০০ ডায়াল করুন। সমাধান মিলবে।
রাতের হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকে নারী নিরাপত্তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকায় নিয়ে প্রকাশ পাচ্ছিল সংশয়। আমজনতার সেই সংশয়ের সুযোগ নিয়েই কেউ বা কারা কলকাতা পুলিশের নামে এই ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়েছে। তবে আমজনতাকে সতর্ক করতে এবং মিথ্যে প্রচার থেকে দূরে রাখতে কলকাতা পুলিশও পালটা সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করেছে। তাদের আশা, এতে সতর্ক হবেন জনগণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের সত্য-মিথ্যা বুঝে নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.