Advertisement
Advertisement

Breaking News

Fake Medicine

দূরপাল্লার বাসে জাল ওষুধ ঢুকছে কলকাতায়! বাড়ছে উদ্বেগ

সম্প্রতি পাইকারি বাজারে হানা দিয়ে কুড়ি লক্ষ টাকার জাল ওষুধ ধরেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।

Fake medicine transported to Kolkata via bus

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 28, 2025 5:40 am
  • Updated:March 28, 2025 5:42 am  

স্টাফ রিপোর্টার: বিমানে কিংবা ট্রেনে নয়, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাসে জাল ওষুধ ঢুকেছে শহর কলকাতায়। সম্প্রতি পাইকারি বাজারে হানা দিয়ে কুড়ি লক্ষ টাকার জাল ওষুধ ধরেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। জানা গিয়েছে, এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ। এজরা স্ট্রিটে গিরিয়া ট্রেড সেন্টার, চিৎপুরের মেহতা বিল্ডিং, বড়বাজারের বাগরি মার্কেটে সম্প্রতি ছ’টি টিমে ভাগ হয়ে হানা দিয়েছিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের উনিশ ইন্সপেক্টর। প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এখান থেকে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিপুল এই জাল ওষুধ এসেছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। তা ছাড়াও বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড হয়েও জাল ওষুধ ঢুকেছে বাংলায়। তদন্তে নেমে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, জাল ওষুধ শহরে নিয়ে আসতে দূরপাল্লার বাসের সাহায্য নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিমানে অথবা ট্রেনে কড়া পাহারায় ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিপুল। বাসে সে ভয় নেই। ভিনরাজ্য থেকে বাসে ওষুধ চলে আসছে ধর্মতলায়। সেখান থেকেই কুলি-মুটেরা তা মাথায় করে পৌঁছে দিচ্ছে এজরা স্ট্রিটে গিরিয়া ট্রেড সেন্টার, চিৎপুরের মেহতা বিল্ডিং, বড়বাজারের বাগরি মার্কেটে।

Advertisement

বাক্সের ওষুধ আসল না নকল তা জানা সম্ভব নয় বাস মালিকের পক্ষে। শহর কলকাতার দূরপাল্লার বাস গুমটির কর্মীরা জানিয়েছেন, ভিনরাজ্য থেকে মাল আনার সময় কাগজ মিলিয়ে দেখে শুধু নেওয়া হয় কী রয়েছে কতটা পরিমাণে রয়েছে। আপাতত উত্তরপ্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বঙ্গের ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড। ভিনরাজ্যের যে সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশ ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকদের কাছ থেকে তার ঠিকুজি জানতে চান বাংলার ইন্সপেক্টররা।

কোন লোভে জাল ওষুধ কিনছে পাইকারি বিক্রেতারা? জানা গিয়েছে, জাল ওষুধ যারা তৈরি করছে তারা বিপুল লাভের লোভ দেখাচ্ছে বিক্রেতাদের। খাঁটি ওষুধ বিক্রি করলে যে লাভ মেলে তার দ্বিগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে বাজারে চলে আসছে এই জাল ওষুধ। পাইকারি বাজার থেকে তা ছড়াচ্ছে খুচরো বাজারে। নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ নির্মাতা সংস্থাকে ইন্টিগ্রেটেড ফার্মাসিউটিক্যাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে নিজের নাম রেজিস্টার করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যারা জাল ওষুধ তৈরি করছে তাদের নাম আদৌ রেজিস্টার রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub