ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ভেজাল ওষুধের উৎস ঠিক কোথায়? এই রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে আরও বড় রহস্যের মুখোমুখি পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল। মাকড়সার জালের মত দেশজুড়ে চক্র সক্রিয়।
বিহারের এক কৃষকের জিএসটি নম্বর ব্যবহার করে বড় বাজারের এক ওষুধ বিপণন সংস্থা চুটিয়ে ব্যবসা করছে রাজ্যে! অর্থাৎ জি এস টি নম্বরটি জাল। মালিক পৃথক। ব্যবসা আলাদা। কিন্তু গত কয়েক বছরে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে একই জিএসটি নম্বর দিয়ে। বাগড়ি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল। বড়বাজারের বাগরি মার্কেটে এমন একাধিক জাল জিএসটি চক্র ধরা পড়েছে। যেগুলি কোনওটা বিহার, কোনওটা গুজরাট আবার কোনওটা অন্ধ্রপ্রদেশের! সব তথ্য অর্থদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, অর্থদপ্তর বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রককে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, ভেজাল ওষুধের সূত্র খুঁজতে মঙ্গলবার ভোরে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের থেকে তথ্য পেয়ে হরিয়ানায় সোনেপতের খারকোদাতে জাল ওষুধের কারখানায় তল্লাশি অভিযান হরিয়ানা ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নামী কোম্পানির জাল ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল। উদ্ধার করা হয়, দু’টি ওষুধ প্যাকেজিংয়ের মেশিন। একটি কম্প্রেসার মেশিন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাপসুল তৈরির মেশিন। ওষুধের প্রিন্টিং মেশিন এবং স্ক্যানার। অর্থাৎ জীবন দায়ী নামী ওষুধের জাল সক্রিয়। এই ঘটনায় যোগেশ কুমার নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে সেই রাজ্যের পুলিশ। ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিকের কথায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে আসা জাল ওষুধ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে পুদুচেরিতে জাল ওষুধের কারখানার হদিশ মিলছে। রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল এর তরফ থেকে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে, তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলকে।
অপরদিকে, হাওড়ার আমতায় ওষুধ কাণ্ডে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা তদন্ত নেমে জানতে পারেন, বিহারের পাটনা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে ওষুধ কিনতে, ভুয়ো জিএসটি নম্বর এবং টাকা পাঠাতে বিহারের গয়ার বাসিন্দার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই ব্যক্তির নাম এবং অ্যাকাউন্টের নথি বিহার ড্রাগ কন্ট্রোল এর তরফ থেকে পাঠানো হল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.