অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় আঁটঘাট বেঁধে অনলাইনে জাল বিদেশি মদের রমরমা কারবার! শুধু তাই নয়, খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হত জাল বিদেশি মদ। মঙ্গলবার সকালে এই চক্রের পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ঘটনার কথা প্রকাশ হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল তিলজলা থানা এলাকার কুষ্টিয়া রোডে। গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন।
কয়েক মাস ধরেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে গোপনসূত্রে খবর ছিল যে তিলজলা থানা এলাকায় জাঁকিয়ে বসেছে অনলাইনে জাল বিদেশি মদের কারবার। রীতিমতো প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। ভেজাল হুইস্কি আর স্কচ তৈরির পর বোতলবন্দি করে বিদেশি কোম্পানির প্যাকেট ও লেভেল আটকে বিক্রি করা হত কলকাতা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। মূলত, সেক্টর ফাইভ থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হত। এমনকী অনলাইনে অর্ডার অনুযায়ী খদ্দেরদের বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হত। দেওয়া হত আকর্ষণীয় ছাড়। বাজার দরের থেকে অমেক কম দামে দেওয়া হত মদ। ফলে মানুষ ওই টোপেই পা দিত।
[ বঙ্গসংস্কৃতিকে চেনাবে উনিশের ব্রিগেড, চাইছেন মমতা ]
এদিন সকালে ইবি ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় কুষ্টিয়া রোডের একটি ছোট গলিতে একটি বাড়ির ভিতরে রীতিমতো প্ল্যান্ট তৈরি করে জাল বিদেশি মদ তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। রীতিমতো নাটকীয়ভাবে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল তিলজলা থানার পুলিশও। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের হাতে এসেছে বিদেশি মদের বিভিন্ন প্যাকেট ও লেভেল। মিলেছে দেদার মদের বোতল। জাল বিদেশি মদ তৈরি ও বিক্রির কাজে যুক্ত থাকায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে অন্তত চারজন। তবে মুল পাণ্ডা সম্ভবত গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মূল চক্রী ও অন্যান্যদের খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নৈহাটির বিভিন্ন এলাকায় জাল মদের কারবারের হদিশ পায় রাজ্য পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই কলকাতায় এমন একটি প্ল্যান্টের হদিশ মিলল যেখানে জাল বিদেশি কারবার চলছিল রমরমিয়ে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
[ বাড়ছে ‘সাইবার যুদ্ধে’র আশঙ্কা, নয়া এজেন্সি গঠন করতে চলেছে সেনা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.