নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাকপুর: চরম অমানবিক ঘটনা। এবার শিশুর চোখ তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি নামী সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই ওই শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই শিশুর চোখ দান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও কীভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চোখ তুলে নিল?
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়া থানার কামারহাটি পুরসভার ষষ্ঠীতলায় দাদু রুস্তম আলির বাড়িতে ৭ জুলাই রাতে খেলা করছিল তিন বছর আট দিনের ফয়জল আলি। ঘর থেকে বেরলেই ষষ্ঠীতলা রোড। ঘরে খেলতে খেলতে দাদু-দিদার নজর এড়িয়ে ফয়জল রাস্তায় নেমে আসে। তখন একটি স্করপিও গাড়ি তার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। তাকে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, পরদিন ৮ জুলাই সকালে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় বাচ্চা মারা গিয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে বেডে শিশুকে দেখা যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর বাচ্চাকে চার ঘণ্টা বেডে রাখা হয়নি। এমনকী, ওখানে পৌঁছনোর আগেই দেহ ঠান্ডা ঘরে রেখে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
[ দলবদলের আশঙ্কা উসকে দু’বারের সাংসদ মইনুলকে বহিষ্কার করল সিপিএম ]
ওইদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তখন নজরে আসে চোখ দু’টিতে সেলাই করা। মৃত শিশুর পিতা ফিরোজ আলি এবং মামি নুরজাহান বেগমের অভিযোগ, “ছেলের দেহ হাতে পাওয়ার পর দেখি দুটো চোখই সেলাই করা। চোখদান না করা সত্ত্বেও কেন বাচ্চার চোখ তুলে নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” বৃহস্পতিবার ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত শিশুর বাবা ফিরোজ আলি পেশায় কামারহাটি জুটমিলের ঠিকা শ্রমিক। তিনি জানান, দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রশাসন তদন্তের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় নিয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে।
মৃত শিশুর চোখ দু’টি পরিবারের অনুমতি ছাড়াই কেন তুলে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত শিশুর পরিবারের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয় বাসিন্দারাও।
[ দলিত ইস্যুতে তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর বিজেপি, পালটা কটাক্ষ শাসকদলের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.