বিক্রম রায়, কোচবিহার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র। সশরীরে শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজিরা দেবেন বলেই জানান তিনি। ইতিমধ্যেই কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
এদিন বিজেপি বিধায়ক জানান, “আমার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছে। তদন্তের স্বার্থে আমাকে যেতে বলেছেন থানায়। আমি তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা করব।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ বিধায়ক। তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার নামে বুকিংয়ের চিঠি দেখতে পাচ্ছি, ততক্ষণ এই বিষয়ে সন্দেহ থাকবে।”
উল্লেখ্য, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর, তাঁকে ফোন করে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে। বলা হয়, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা থেকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, যদি ৫ লক্ষ টাকা দেন, তাহলে পুলিশি ধরপাকড় থেকে মুক্তি পাবেন বলে ফোনে বলা হয়েছিল। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করা হয়েছিল সেটির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায়, হুগলি থেকে ফোনটি এসেছিল। পালটা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ।
যে নম্বরে ফোন এসেছিল সেই নম্বরে চেয়ারম্যান ফোন করে তাদের দাবিমতো টাকা দিতে রাজি বলে জানিয়ে এমএলএ হস্টেলে ডাকেন ওই প্রতারকদের। এমএলএ হস্টেলে বিজেপি বিধায়ককে দিয়েই ইমরান শেখ নামে এক যুবক ঘর বুকিং করেছিল। কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র ঘরটি বুক করা হয়েছিল। এই ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ তলব করে বিধায়ককে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.