সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে বোমা উদ্ধার হল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এলাকার কাছে। রেললাইনের ধারেই উদ্ধার হয়েছে একাধিক তাজা বোমা। তার পাশে ছিল একটি গ্যাস সিলিন্ডারও। খবর ছড়াতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়। ঘটনাস্থলে এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরই অবশ্য ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
[শহরে মাদক চোরাচালানের রমরমা, অনলাইনে বিকোচ্ছে চরস-কোকেন!]
জানা গিয়েছে, স্টেশনের কাছে যে এলাকায় বোমাগুলি উদ্ধার হয়েছে সেখানে মানুষের বিশেষ যাতায়াত নেই। তাহলে সেই সুযোগেই ওই স্থানে কি কোনও নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছিল? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে আশেপাশে এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে নিষিদ্ধ ড্রাগস পাচার, সল্টলেকে মাদকচক্রের পর্দাফাঁস]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শহরে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কলকাতা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সামসুদ মিঞা ওরফে তনভির বিশ্বাস ওরফে তুষার বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন এবং মনোতোষ দে ওরফে মনাদাকে। সামসুদ ও রিয়াজুল দু’জনই বাংলাদেশের আনসারউল্লা বাংলা টিমের সদস্য। অন্যদিকে অস্ত্র কারবারি মনোতোষ বসিরহাটের বাসিন্দা।
দুর্গাপুজোর সময় এদের কথা জানতে পারে এসটিএফ। তারপর থেকে এদের খোঁজ চলছিল। সেন্ট্রাল আইবি এদের সম্পর্কে লালবাজারকে জানায়। প্রায় ২০-২৫ দিন ধরে এদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। মনোতোষের কাছ থেকে রাসায়নিক কেনার পরিকল্পনায় ছিল রিয়াজুলরা। সেই রাসায়নিক দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করার ছক ছিল তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে আল কায়দার বই, বিস্ফোরক তৈরি করার সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, জাল আধার কার্ড পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান ছিল, সাধারণত কোনও রেলস্টেশন সংলগ্ন হোটেল বা লজেই এরা গা-ঢাকা দিয়ে থাকত। তেমন কোনও নাশকতার ছক এই ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[নেই জামিনদার, কোর্টের নির্দেশে এক ডজন মোষ পাহারায় পুলিশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.