ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশ না মানার অভিযোগ। আপাতত পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) নামী অভিজাত হোটেলের প্রত্যেকটি পানশালা বন্ধ করার নির্দেশ দিল আবগারি দপ্তর। ওই হোটেলের দশজন কর্তাকে ডেকে জেরা করবে লালবাজার।
জানা গিয়েছে, ওই হোটেলটিতে মোট ন’টি পানশালা রয়েছে। আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হোটেল সংক্রান্ত যে মামলাটি শুরু হয়েছে, সেটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপাতত হোটেলের ন’টি পানশালাই বন্ধ রাখতে হবে। মদ সরবরাহ করা যাবে না। এদিকে, ‘বেআইনি’ নাইট পার্টির ঘটনায় ওই হোটেলের দশজন কর্তাকে ডেকে জেরা করবে লালবাজার। বুধবারই তাঁদের লালবাজারের গোয়েন্দা দপ্তরের গুন্ডদমন শাখায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সপ্তাহের শেষে করোনা বিধি উপেক্ষা করে পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে গভীর রাত পর্যন্ত চারটি ঘর ও লাগোয়া করিডরে চলছিল মদ্যপান ও ডিজে বাজিয়ে নাচ। তার সঙ্গে চলছিল হুক্কা। ওই হোটেলের নাইটক্লাবে যা হয়, তাই হচ্ছিল হোটেলের রুম লাগোয়া করিডরে। হোটেলের তিন ও চারতলায় করিডরে ছিল প্রায় একশোজন। সরকারি নির্দেশ না মেনে পার্টি করার অভিযোগে ৩৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে ন’জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এরপরই পুলিশ প্রশ্ন তোলে, ওই সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ কি করছিল? কারণ, হোটেল কর্তৃপক্ষর অনুমতি ছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত ওই পার্টি চলা সম্ভব নয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই পার্টি চলার সময় ফ্লোর ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন। পুরো বিষয়টি জানতেন বার ম্যানেজার। তাই কীভাবে ওই পার্টি চলছিল, কে বা কারা পার্টির অনুমতি দিল, তা জানার জন্য বুধবার ফ্লোর ম্যানেজার, বার ম্যানেজার, ফুড অ্যান্ড বিভারেজ ম্যানেজার-সহ মোট দশজনকে লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। যে হোটেলকর্তা ডিজের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই আলাদা আলাদাভাবে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রমাণ হিসাবে হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখানো হবে তাঁদের। রাত আটটার পর যদি পানশালা বন্ধও হয়ে থাকে, তবে মদ্যপানের জন্য কেন রুম খুলে দেওয়া হল, তা নিয়েও তাঁদের প্রশ্ন করা হবে। পার্টিতে থাকা কয়েকজন গাঁজার মতো মাদক কীভাবে নিচ্ছিলেন, তাও জানার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.