Advertisement
Advertisement

Breaking News

NEET

দেওয়া হয়েছিল ছেঁড়া OMR শিট! NEET কেলেঙ্কারির মাঝেই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে পরীক্ষার্থী

ফের পরীক্ষায় বসতে চান পানিহাটির পরীক্ষার্থী, তাতে চূড়ান্ত অনুমতি দেননি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে উত্তরপত্র ও সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

Examinee went to Calcutta HC with a grave allegation regarding OMR sheet of NEET
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 21, 2024 8:43 pm
  • Updated:June 21, 2024 8:49 pm  

গোবিন্দ রায়: অভিযোগ গুরুতর। সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এ এক পরীক্ষার্থীকে ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়েছে! শুধু তাই নয়, ওএমআর শিট বদলে দেওয়ার নামে তাঁকে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন ওই পরীক্ষার্থী। পরে ওই উত্তরপত্র বদল তো করাই হয়নি, উপরন্তু সময় নষ্ট করে ছেঁড়া উত্তরপত্রেই তাঁকে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে পুনরায় পরীক্ষায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বাসিন্দা পরীক্ষার্থী ফিয়োনা মজুমদার।

শুক্রবার পরীক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করলেও তাঁর পরীক্ষায় বসতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেননি কলকাতা হাই কোর্টের  (Calcutta HC) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এক বছরের জন্য ওই পরীক্ষার অরিজিনাল ওএমআর শিট (OMR Sheet) এবং পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যদিও এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছেন, পুনরায় ওই পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। এই অবস্থায় এখনই হাই কোর্ট কোনও নির্দেশ দেবে না। মামলাকারী প্রয়োজন মনে করলে শনিবার শীর্ষ আদালতে যেতে পারবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বহরমপুরে নষ্ট কংগ্রেসের জনভিত্তিই! অধীরের হার নিয়ে দলীয় অন্তর্তদন্তে নয়া তথ্য]

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে  NEET-এ গ্রেস নম্বর পাওয়া ১৫৬৩ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। রবিবার পরীক্ষার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতির পানিহাটির ফিয়োনার মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষাকেন্দ্রে মামলাকারী তথা পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট করা হয়েছে – এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এতে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আদালত মনে করছে।

[আরও পড়ুন: মাত্র একজন শিক্ষক নিয়েই চলছে আস্ত স্কুল! রানিগঞ্জে পথ অবরোধ অভিভাবকদের]

আদালতে NTA-র দাবি, ওই ওএমআর শিট স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছিল। ছেঁড়া ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি। উপরের অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। পরীক্ষার্থী অভিযোগ জানালে তাঁকে ওই ওএমআর শিটেই পরীক্ষা দিতে বলা হয়েছে। কয়েক মিনিট নষ্ট হয়েছে। একজন পরীক্ষার্থী দেড় ঘণ্টা না লিখে শুধুমাত্র ছেঁড়া ওএমআর শিটের অজুহাতে বসে ছিল – এই যুক্তি ভিত্তিহীন। তবে সওয়াল-জবাব যাই হোক না কেন, NEET কেলেঙ্কারির মাঝে এই পরীক্ষার্থীর অভিযোগ যে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলল, তা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement