Advertisement
Advertisement

ধীরে ধীরে কমছে চোখের দৃষ্টি, অন্ধকারই সর্বক্ষণের সঙ্গী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের

কমেছে ফুসফুসের সমস্যা।

EX-West Bengal CM Buddhadeb Bhattacharya’s health deteriorates
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 20, 2018 3:53 pm
  • Updated:July 20, 2018 3:53 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সরকারি আবাসনে দু’কামরা ফ্ল্যাটে জানালা খোলা মানা। আপত্তি খোদ ফ্ল্যাটের মালিকেরই। আলো তিনি আর সহ্য করতে পারছেন না। চোখে আলো পড়লেই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয়! অন্ধকার ঘরে এখন দিন কাটছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।

[ একুশের সভা উপলক্ষে হাওড়া স্টেশনে গ্রিন করিডর, মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনী]

Advertisement

সক্রিয় রাজনীতি থেকে কবেই সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে কয়েক মাস আগে পর্যন্ত অবশ্য রাজ্য সিপিএমের সদর দপ্তর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে নিয়মিত যেতেন। ডাক্তারের নিষেধ ছিল। তাও মার্চে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য কমিটির বৈঠকে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দলের সতীর্থরা। তারপর থেকে আর একদিনও পাম অ্যাভিনিউয়ে ফ্ল্যাটের বাইরে বেরোননি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফুসফুসের সমস্যা এখন কম। অক্সিজেন আর নিতে হয় না। কিন্তু, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভোগাচ্ছে চোখ। সমস্যা এতটাই, যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পড়াশোনা। ধীরে ধীরে কমছে দৃষ্টিশক্তি। বুদ্ধবাবুর ঘনিষ্ঠ সিপিএম সাংসদ সেলিম বলেন,  ‘চোখের সমস্যায় খুব কষ্ট পাচ্ছেন বুদ্ধদা। দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমছে।” বুদ্ধবাবুর চোখের সমস্যা দীর্ঘদিনের। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একবার  চিকিৎসা করাতে কিউবা গিয়েছিলেন তিনি। বয়স বাড়লে চোখের সমস্যাও যে আরও বাড়বে, তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সিপিএমের এক নেতার আক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে চলে আসতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সকাল এগারোটায় মহাকরণ। সেই মানষটিরই এখন ঘুম ভাঙে সকাল এগারোটায়!

কী আশ্চর্য সমাপতন! বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘রাজনৈতিক গুরু’ প্রমোদ দাশগুপ্তও শেষের দিকে শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। চোখের সমস্যাও ছিল। বার্ধক্যে নিঃসীম অন্ধকারই সর্বক্ষণের সঙ্গী তাঁর শিষ্যেরও।

[মেদিনীপুরের সভায় দুর্ঘটনার জের, বাতিল প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement