সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মাঝেই ‘ট্র্যাক’ পালটে ফেললেন এশিয়াডে সোনাজয়ী প্রাক্তন অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদার। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন এই সিপিএম সাংসদ।
২০০৪ সাল। লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই নিয়ে সিপিএমের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছায়। শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, কৃষ্ণনগর সিপিএমের টিকিটে ভোটে লড়বেন কোনও অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অরাজনৈতিক প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নেন সিপিএমের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস। তিনি নিজেও নদিয়া জেলারই ভূমিপুত্র ছিলেন। অনিলবাবুর পরামর্শেই এশিয়াডে জোড়া সোনাজয়ী অ্যাথলিট জ্যোতির্ময়ী শিকদারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। সেবার লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হতে রাজি হয়ে যান জ্যোতির্ময়ী। জিতে সাংসদও নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে ফের কৃষ্ণনগর থেকেই রাজ্যের জ্যোতির্ময়ী শিকদারকেই প্রার্থী করে সিপিএম। কিন্তু, জিততে পারেননি তিনি। জ্যোতির্ময়ী শিকদারকে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী তাপস পাল। গত বিধানসভা ভোটেও সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রে বামফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বাংলার এই নামজাদা অ্যাথলিট। যদিও হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও রাজনীতি ছাড়েননি। বিভিন্ন সময়ে নারী নির্যাতন-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন জ্যোতির্ময়ী শিকদার।
বৃহস্পতিবার বারাসতে দলের প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বামফ্রন্টের প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদার। প্রাক্তন সাংসদের দলবদলের সিদ্ধান্ত কিছুটা অবাক সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি বলেন, ‘শুনলাম তৃণমূলে গিয়েছে। কিন্ত কেন বুঝলাম না। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দিন কয়েক আগে একটি রক্তদান শিবিরেও তো এসেছিল।’
[ আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক সুনীল সিংয়ের বাড়িতে অর্জুন, রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.