ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভিডিও বার্তা নিয়ে ফের সামনে এলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। রবিবার সন্ধ্যার ঘটনা। সেখানে যে কণ্ঠ ভেসে আসছে, তাতে বলা হয়েছে, প্রদীপের মতো জ্বলব। দানবের মাঝে সত্যি বলার ক্ষমতা রাখি। চিরকাল মাথা উঁচু করে চলব। সঙ্গে পরপর সব্যসাচীর ছবি। ভিডিও বার্তার ভয়েস ওভার অমিতাভ বচ্চনের। সেই গলাতেই ভেসে আসছে বার্তাটি। বারবার একটাই কথা, ‘মাথা উঁচু করে বাঁচব’। সব্যসাচী নিজে অবশ্য এই বার্তায় কিছু বলেননি। স্রেফ তাঁকে সামনে রেখে এই ভিডিও বার্তা। মুকুল রায়ের সঙ্গে ‘সুসম্পর্কের’ জেরে একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের কোপে পড়তে হয়েছে তাঁকে। শেষে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বেশ কিছুদিন সব কিছু থেকে দূরেই ছিলেন। এদিন ফের জল্পনা বাড়ালেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই ‘কাজ করতে পারছি না’ বলে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সব্যসাচী। তবে বিধায়ক আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সরকারি বৈঠকে হাজিরও হয়েছিলেন। এদিন এই ভিডিও নিজেই ‘শেয়ার’ করেছেন। যেখানে অমিতাভের কণ্ঠ কখনও বলছে, “সূর্যের মতো তেজ না থাকলেও প্রদীপের মতো জ্বলব। নিজের ইচ্ছেকে পূরণ করবই। কতদিন আটকাবে।” আবার বলছে, “রুক্ষভূমিতে পালিত হয়ে মৃত্যু থেকে জীবনকে বাঁচিয়ে এনেছি। আমি ফুরিয়ে যাওয়ার বান্দা নই। যুদ্ধে জখম করার চেয়ে আমার সহ্য করার ক্ষমতা বেশি।” বলছেন, “দানবদের চিৎকারের মাঝে থেকেও সত্য বলার ক্ষমতা রাখি।” একেবারে শেষে সেই কণ্ঠই বলছে, “অনেক কষ্ট করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। আর ঝুঁকব না। নিজেকে নিজে তৈরি করেছি। কারও হাতে ধ্বংস হওয়ার ভয় নেই। আগুনে ছুড়ে ফেললে পুড়ে সোনা হয়ে বেরবো।” শেষে সস্ত্রীক সব্যসাচীর ছবি। এই ভিডিও বার্তা নিয়ে অবশ্য কোনওভাবেই মুখ খোলেননি প্রাক্তন মেয়র।
ইতিমধ্যে তাঁর এলাকায় ‘দিদিকে বলো’র কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। তার দেখভালও করছে দলের উপরমহল। এই পরিস্থিতিতে এমন একটি ভিডিও বার্তা। তবে কি তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা বাড়ল? তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি সব্যসাচী। এর মধ্যে এদিনই ঘটে গিয়েছে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। রাজারহাটে শুলংগুড়ি কলোনিপাড়া স্কুলের অভিভাবক পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। যেখানে ৬টি আসনই বিপুল ভোটে জিতে গিয়েছে বিজেপি। এলাকাটি রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ সব্যসাচীরই নির্বাচনী কেন্দ্রের অধীন। তারপরও তৃণমূল এই স্কুলে হারল। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনে সব্যসাচী সরাসরি অংশই নেননি। সেই কারণেই বিজেপির দখলে গিয়েছে স্কুলটি। আগে এই ৬টি আসনই তৃণমূলের দখলে ছিল। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে এই এলাকাতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষও হয়েছিল।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.