বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: করোনাকে হারিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তীর (Shyamal Chakraborty)। বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ হল তাঁর জীবনযুদ্ধ। বৃহস্পতিবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
গত মাসের শেষের দিকে শরীর প্রচণ্ড খারাপ হয় তাঁর। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। মেয়ে উষসী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বাবার অসুস্থতার কথা জানান। অভিনেত্রী জানান, তাঁর বাবার ফুসফুসের সংক্রমণ ছিল। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার একই সমস্যায় ভুগেছেন বর্ষীয়ান নেতা। এছাড়াও তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল। সে কারণে তাঁর বাবার করোনা (Coronavirus) পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।করোনার কামড়ে কাবু বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়েকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেমন রয়েছেন শ্যামলবাবু, সে বিষয়ে খোঁজখবরও নেন তিনি। নিজের ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের কথা জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও দেন শ্যামল চক্রবর্তীর কন্যা অভিনেত্রী উষসী।
কিন্তু শেষরক্ষা হল না। করোনার মতো অদৃশ্য ভাইরাসকে হারিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না বর্ষীয়ান রাজনীতিকের। বৃহস্পতিবারই সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন শ্যামল চক্রবর্তী। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। অগণিত অনুগামী তাঁর মৃত্যু সংবাদে কাতর। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শ্যামল চক্রবর্তীর প্রয়াণে যেন তৈরি হল এক শূন্যতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.