Advertisement
Advertisement

Breaking News

চরিত্র বদলে নয়া বেশে হানা ডেঙ্গুর

পুজোর মুখে জ্বরের দাপটে স্বাস্থ্য সমস্যায় জেরবার।

Evolved dengue strain sparks panic in Kolkata
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2017 2:47 am
  • Updated:September 25, 2017 2:47 am  

গৌতম ব্রহ্ম: চরিত্র বদলে শহরে ডালপালা মেলছে ডেঙ্গু-অসুর। কখনও এই মশাবাহিত রোগে হেপাটাইটিসের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, কখনও ডায়েরিয়া, কমছে হার্টবিট। কখনও আবার শ্বেত রক্তকণিকা ভেঙে ডেঙ্গু আক্রান্তর রক্তে তৈরি হচ্ছে জটিল যৌগ।

শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ সুস্পষ্ট অথচ, রক্ত পরীক্ষাতে অনেক সময় ধরা পড়ছে না ভাইরাসের অস্তিত্ব। চিকিৎসকদের একাংশ তাই এই ছদ্মবেশী জ্বরকে ‘ক্লিনিক্যাল ডেঙ্গু’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই জ্বরে কখনও ‘প্যারাসিটামল’ কাজ করছে, কখনও করছে না। প্রবল ধন্দে পড়েছে চিকিৎসকমহল। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ডেঙ্গু ভাইরাসের মধ্যে অ্যান্টিজেন বিনিময়ের ফলেই এই চরিত্র বদল বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। ফলে প্রবল ধন্দে পড়েছে চিকিৎসকমহল। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে আতঙ্কের পারদ চড়ছে বেশি। কলকাতার এক নামী অভিনেত্রীর মেয়েও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।

Advertisement

২০১৫ সালে জানুয়ারি থেকে জুলাই-ডেঙ্গুতে মোট ২৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছিল। আর এ বার? আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাতশো। ২০১৬ সালে প্রথম সাত মাসে কোনও মৃত্যু হয়নি। আর এবার? অন্তত পাঁচটি মৃত্যুর পিছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ডেঙ্গু জড়িত!

[দুঃস্থ শিশুদের নিয়ে পুজো পরিক্রমায় কলেজ পড়ুয়ারা]

আগে শহরতলিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যেত বেশি। আর এবার কলকাতাতেও বেশ দাপট দেখাচ্ছে এই মশাবাহিত রোগ। ডালপালা ছড়িয়েছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরেও। চলতি বছরে দমদমে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা জুলাইতেই ৯৫ ছাড়িয়েছে। শ্রীরামপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। কমিউনিটি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ জানিয়েছেন, কিছু জ্বরে ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। অথচ রক্তপরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। ‘অ্যাটিপিক্যাল’ বলেই মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ বছর ডেঙ্গু বর্ষার শুরুতেই দেখা গিয়েছে। নতুন কিছু উপসর্গ নিয়ে হাজির হয়েছে এবার ডেঙ্গু। তাই মাঝেমধ্যে রোগ নির্ণয়ে সমস্যা হচ্ছে।

২০১৫ সালে ডেঙ্গুতে নতুন কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। যেমন, ফুসফুস ও পেটে জল জমা, চোখের পেশিতে ব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া। এবার ডায়েরিয়া, হেপাটাইটিসের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এমনকী হার্ট-রেট কমে যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তর। এমনও ‘কেস’ পাচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। তাঁদের মত, ছোটদের ডেঙ্গু হলে বেশি করে জল খেতে হবে। ডাক্তার না দেখিয়ে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নয়। জ্বর হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই রক্তপরীক্ষা করাতে হবে। স্বাস্থ ভবনে ডেঙ্গু-মোকাবিলায় দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। নবান্নে গত মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন করে ১৬টি রোগ নির্ণয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

[ফের একবার শহরের মাথা উঁচু করল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement