দীপঙ্কর মণ্ডল: আসন্ন পুরভোট। তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ দুপুরে রাজভবনে গেলেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস, সঙ্গে ছিলেন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য। প্রায় মিনিট ৪৫ ধরে বৈঠক হয় উভয়ের। রাজ্যপালকে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সমস্ত তথ্য জানানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রেস বিবৃতি জারি করেছে রাজভবন। এদিন কমিশনের তরফে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে পঞ্চায়েত ভোট এবং লোকসভা ভোটে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ ছিল বলে লক্ষ্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সামনেই পুরভোট। সেই ভোট অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব আছে বলে তিনি মনে করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শান্তিপূর্ণভাবে এবারের পুরভোট সম্পন্ন করতে কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস এবং কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। রাজভবন সূত্রে প্রেস বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, পুরভোটের আগে কমিশনের প্রস্তুতি এবং কার্যসূচি সংক্ষিপ্ত আকারে জানানো হয়েছে। সৌরভ দাস জানিয়েছেন যে আগামী ৪ তারিখ জেলাশাসকদের নিয়ে তিনি বৈঠকে বসবেন। রাজ্যপাল বারবার জনগণের অবাধ, স্বচ্ছ ভোটদানের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তার উপরে জোর দিয়েছেন।
পাশাপাশি, তিনি কমিশনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ২৪৩K ধারাটিতে জোর দিয়েছেন। যাতে নির্বাচন সুসম্পন্ন করতে কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে। ধনকড়ের বক্তব্য, আগেকার মতো হিংসার পরিবেশে ভোট হোক, তা তিনি চান না। সকলের ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনও ব্যবস্থা যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নেয়, সেদিকে জোর দিতে বলেছেন ধনকড়। উলটোদিকে, কমিশনার সৌরভ দাসও তাঁকে নিশ্চিত করেছেন যে পুরভোট অবাধে করতে তাঁরাও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। জেলশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হবে।
এদিন রাজভবনের বৈঠক সেরে কমিশনার এবং সচিব ফেরার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। যাতে নতুন করে ২০ লক্ষ ৬৯ হাজার জনের নাম রয়েছে। নাম বাদ গিয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটারের। কমিশন সূত্রে খবর, যাঁদের ঠিকানা স্থানান্তর অথবা ভোটার কার্ডে সংশোধনের জন্য কাজ চলছিল, তাঁদের অধিকাংশের নাম বাদ গিয়েছে। তবে কমিশনের আশ্বাস, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই নামগুলিও জায়গা করে নেবে ভোটার তালিকায়। এর জন্য কেউ যাতে উদ্বিগ্ন না হন, সেই বার্তাও দিয়েছে কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.