ছবি: প্রতীকী
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: রিজেন্ট পার্কে মামার বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল ভানুপ্রতাপ ছেত্রী নামে এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। বন্ধ ঘর থেকে ওই ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকা-পয়সা ও গয়না চেয়ে অত্যাধিক চাপ দিতেন প্রেমিকা। সেই চাপ আর নিতে পারছিলেন না ভানুপ্রতাপ। তাই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
[আইএএস অফিসার সেজে বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে থানায় হাজির যুবক! তারপর…]
শিলিগুড়িতে বাড়ি ভানুপ্রতাপ ছেত্রীর। সেখানে এখনও থাকেন তাঁর বাবা-মা। বছর চারেক আগে উত্তরবঙ্গেরই একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন ভানুপ্রতাপ। তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও পান। চাকরির সুবাদে বাগুইআটির একটি ফ্ল্যাটে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতে শুরু করেন। পরে চলে আসেন টালিগঞ্জের রিজেন্ট পার্কে ম্যুর অ্যাভিনিউতে মামার বাড়িতে। ভানপ্রতাপের মামার গ্যারাজের ব্যবসা, পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভাল। এই চাকরি সূত্রেই ভানুপ্রতাপের সঙ্গে আলাপ হয় এক তরুণীর। আলাপ থেকে গড়ে ওঠে গভীর প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেমিকার সঙ্গেই কয়েক মাস আগে থেকেই বিবাদ শুরু হয়েছিল ভানুপ্রতাপের। একপ্রকার ব্ল্যাকমেল করে তাঁর কাছ থেকে টাকাপয়সা ও সোনাদানা হাতিয়ে নিয়েছে ওই তরুণী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ভানুপ্রতাপ। এদিকে আবার ফেসবুকে সূত্রে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ভানুপ্রতাপের। সেকথা জানতে পেরে যান ওই তরুণের প্রথম প্রেমিকা। তাতে বিবাদ আরও বাড়ে।
মৃতের মামার বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে অফিস থেকে ফিরে নিজের ঘরে বাবা, মা ও দ্বিতীয় প্রেমিকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কথা বলেন ভানুপ্রতাপ। এরপরই ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যু আগে বাবা, মা ও দ্বিতীয় প্রেমিকার সঙ্গে ভানুপ্রতাপ কী কথা বলেছিলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
[ ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ফের উত্তেজনা বেহালা কলেজে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.