সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccine) ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। দেবাঞ্জন দেব বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। স্পেশ্যাল কোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেবাঞ্জনকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনই মঞ্জুর হয়েছে। ইডি স্পেশাল কোর্ট জানিয়েছে, যখনই দেবাঞ্জন জেল হেফাজতে যাবে তখনই ইডি তাকে জেরা করতে পারবে। সূত্রের খবর, এই নির্দেশ প্রতিটি জেল সুপারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত জুন মাসে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী কসবার ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেন। তবে তাঁর মোবাইল নম্বরে কোনও মেসেজ না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। গোটা বিষয়টি জানান কলকাতা পুরসভায়। আর তাতেই দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) কীর্তি সকলের সামনে আসে। জানা যায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় দেবাঞ্জন দেব। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সে। এই ঘটনার পরই কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয় শাসক-বিরোধী তরজা।
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। চার্জশিটে দেবাঞ্জন দেব-সহ আটজনের নাম রয়েছে। দেবাঞ্জন দেব ছাড়াও নাম রয়েছে কাঞ্চন দেব, রবীন শিকদার, সুশান্ত দাস, শরৎ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোককুমার রায় ও শান্তনু মান্নার। প্রত্যেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের সঙ্গে ঠিক কীভাবে জড়িত, তা ওই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের পেশ করা এক হাজার পাতার চার্জশিটে ১৩০ জনের সাক্ষ্য রয়েছে।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পাশাপাশি রেমডেসিভিরের কালোবাজারির তদন্ত চলছে জোরকদমে। গত বুধবার সকালে দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে প্রথমে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। তারপর একে একে দেবাঞ্জন দেবের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। লেনিন সরণি এবং ওয়াটগঞ্জে দেবব্রত সাহুর বাড়িতেও হানা দেন আধিকারিকরা। চলে তল্লাশিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.