সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিঁয়াজের উর্ধ্বমুখী দাম উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রায় প্রতিটি মুহূর্তে। এবার সেই চিন্তা কিছুটা কমাতে সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। ছুটির দিনেই খাদ্যভবনে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বসল জরুরি বৈঠক। কীভাবে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায়, আমদানি বাড়ানো যায় এবং কালোবাজারি তথা ফড়েদের দাপট রুখে মসৃণভাবে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে পিঁয়াজ-প্রবেশ ঘটানো যায় – এসব নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর। খাদ্যভবনের বৈঠকে রয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরা।
রাজ্যে পিঁয়াজ চাষে শুরু হয়েছে খুব বেশিদিন নয়। রীতিমত গবেষণা, সমীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পরিবেশ দেখে দক্ষিণের কয়েকটি জেলার নির্দিষ্ট অঞ্চলে পিঁয়াজ চাষ হয়। এবছরও জমিতে পিঁয়াজ ফলিয়েছেন চাষিরা। কিন্তু চলতি মরশুমে সেই পিঁয়াজ জমি থেকে বাজারে আসতে এখনও প্রায় একমাস সময় লাগবে। তখন হয়ত প্রয়োজনমতো জোগান থাকায় দামে কিছুটা রাশ টানা যাবে। কিন্তু ততদিন কি সেঞ্চুরি কোঠাতেই থাকবে পিঁয়াজের দাম? এই প্রশ্নের উত্তর বুঝে নিতেই খাদ্যভবনে ছুটির দিনে জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই সময়ের জন্য বাইরে থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
সূত্রের খবর, হু হু করে পিঁয়াজের এমন দামবৃদ্ধির সুযোগে মধ্যস্বত্ত্বভোগী বা ফড়েরা কতটা লাভবান হচ্ছে, কোথাও গোপনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিঁয়াজ মজুত করে তা চড়া দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে কি না, টাস্ক ফোর্সের নজরদারির এবিষয়ে কতটা কার্যকরী হবে, তাও ভেবে দেখার। অনেক সময়েই দেখা যায়, ফসলের প্রচুর দাম সত্ত্বেও চাষির লাভের অঙ্ক তেমন হয় না। কৃষক এবং ক্রেতাদের মাঝের স্তরে ফড়েদের দাপটই তার মূল কারণ। পিঁয়াজের ক্ষেত্রেও সেই একই সমীকরণ প্রযোজ্য। তাই নজরদারির বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
বাইরে থেকে পিঁয়াজ আমদানির পথও কতটা নির্বিঘ্ন, তাও বুঝতে চাইছে খাদ্যদপ্তর। এছাড়া সুফল বাংলার স্টলে ন্যায্যমূল্যে পিঁয়াজ বিক্রি করেই বা কতটা সমস্যা সামাল দেওয়া যায়, সেই হিসেবও গুরুত্বপূর্ণ। মোট কথা, নতুন বছরের আগেই পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করে উদ্বেগ কমানোর লক্ষ্যে এই বৈঠক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.