Advertisement
Advertisement

Breaking News

Electoral Bond

নির্বাচনী বন্ডে বিপুল আয় কীভাবে? তৃণমূলের হাতিয়ার ‘ড্রপ বক্স’ তত্ত্ব

তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে করে কী ব্যাখ্যা দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ?

Electoral Bond: What TMC's reaction about this, Kunal Ghosh explains
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 23, 2024 4:51 pm
  • Updated:March 23, 2024 4:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) নিয়ে তোলপাড় দেশজুড়ে। সুপ্রিম কোর্টর নির্দেশে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই বন্ড মারফত বিজেপির তহবিলে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের টাকা জমা পড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল (TMC)। নির্বাচনী বন্ড থেকে তাদের আয় ১৩৯৭ কোটি টাকা। তার পরই রয়েছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের তুলনায় ঘাসফুলের তহবিলে বেশি টাকা নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর সেই সমালোচনার জবাবে তৃণমূলের হাতিয়ার করল ‘ড্রপ বক্স’ তত্ত্ব! শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ”খুব নির্দিষ্টভাবে বলছি, তৃণমূলকে কে কত টাকার বন্ড দিয়েছে, তা তৃণমূল জানত না।”

তৃণমূলের বন্ড নিয়ে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) হাতিয়ার করলেন ‘ড্রপ বক্স’কে। এনিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ”বন্ডে তৃণমূলকে কে কত টাকা দিয়েছে, তা তৃণমূল জানত না। ধরুন কেউ বন্ড কিনবেন। ১০ দিন তার কাছে সময় আছে। তৃণমূল ভবনের সামনে ড্রপ বক্স রাখা থাকত। সেই বক্সে কেউ টাকা দিয়ে গিয়েছেন। যিনি দিয়েছেন, তিনি কে, তা জানার উপায় নেই। কারণ, বিজেপির চালু করা আইন অনুযায়ী, তাতে কোনও নাম নয়, কেবল আলফা-নিউমেরিক কোড (Code) থাকত। কোথাও বলা থাকত না, দাতা কোন কোম্পানি বা কে। দেশে এই সিস্টেম চালু করেছে বিজেপি। তারা জানত, তাদের কে কে টাকা দিয়েছে। কারণ, তারা ইডি, সিবিআইকে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি টাকা নিজেদের তহবিলে এনেছে। কিন্তু তৃণমূলের কাছে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রশান্ত কিশোর ‘ওভারহাইপড’! প্রাক্তন ভোটকুশলীকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক]

এনিয়ে তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ”তৃণমূল ভবনের সামনে রাখা ড্রপ বক্সে যা জমা পড়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের পর তা আমরা খুলেছি। কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে নয়, দলের অ্যাকাউন্টে সেসব ড্রাফট জমা পড়েছে। তা খুলে এনক্যাশ করে যে অঙ্ক দাঁড়িয়েছে, তা আমরা জমা দিয়ে দিয়েছি। তাই তৃণমূল কেন এর থেকে এত টাকা নিল, ওর থেকে এত টাকা নিল, এসব প্রশ্ন একেবারে প্রযোজ্য নয়।”

[আরও পড়ুন: চলছে গুলি, লুটিয়ে পড়ছে রক্তাক্ত মানুষ! দেখুন মস্কোয় হাড়হিম করা জঙ্গি হামলার ভিডিও]

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও (Biman Basu)। তাঁর বক্তব্য, ”ইলেক্টোরাল বন্ড যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা তো কিছু পাওয়ার জন্য দিয়েছেন। এ রাজ্য়ে ৪৪৪ কোটি টাকা বন্ড কেনা হয়েছে। এসব উসুল করে নেওয়া হচ্ছে মানুষের উপর বিদ্যুতের কর বাড়িয়ে বা অন্য কিছু করে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement