Advertisement
Advertisement
নির্বাচন কমিশন

বুথে বুথে প্রশিক্ষিত অ্যাটেন্ড্যান্ট-সহ ‘ক্রেশ’ রাখার নির্দেশ, বিপাকে ভোটকর্তারা

গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় কমিশনের এই নির্দেশটি কতটা বাস্তবায়িত করা যাবে?

Election Commission directs to make creche in booths
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 23, 2019 1:25 pm
  • Updated:March 23, 2019 1:25 pm  

শুভঙ্কর বসু: স্বামী-স্ত্রীর সংসার। ঘরে দুগ্ধপোষ্য শিশু। বাচ্চাকে কোথায় কার কাছে রেখে মা ভোট দিতে যাবেন? অত ঝক্কির চেয়ে ভোট না দেওয়াই ভাল। এই জেট যুগের নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে এমনটা হামেশাই হয়ে থাকে। বাচ্চা সামলাতে গিয়ে ভোটদানে বিরত থাকেন মা। এই সমস্যার সমাধানে বিশেষ নজর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের লক্ষ্য, এক জন ভোটারও যেন নিজের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন। এবং সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যে নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুধের শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রেখে মা-বাবা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য এবার বুথে বুথে প্রশিক্ষিত অ্যাটেন্ড্যান্ট-সহ ‘ক্রেশ’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে কমিশনের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে আপাতত চরম বিপাকে পড়েছে জেলাগুলি। গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় কমিশনের এই নির্দেশটি কতটা বাস্তবায়িত করা যাবে, সে সম্পর্কে রীতিমতো ধন্দে পড়ে গিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। ঠিক কী বলা হয়েছে ওই নির্দেশে?

কমিশন জানিয়েছে, এতদিন ভোটারদের জন্য ন্যূনতম মৌলিক সুযোগ সুবিধা মজুত রাখা হত ভোটকেন্দ্রগুলিতে। এবার তার পরিধি অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য র‌্যাম্প, শেড, অক্ষম ভোটাদের জন্য গাড়ি, ফার্স্ট এড ক্যাম্প, হেল্প ডেস্কের মতো আধুনিক ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি এবার প্রতিটি বুথে একজন প্রশিক্ষিত অ্যাটন্ডেন্টের তত্ত্বাবধানে একটি ‘ক্রেশে’র সংস্থান রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা হল, শহর কলকাতার মতো উন্নত এলাকায় ভোটকেন্দ্রে শিশুদের জন্য ক্রেশ রাখা যদিও বা সম্ভব হয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন কিংবা পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় কমিশনের এই নির্দেশ কীভাবে কার্যকর করা যাবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি জেলা প্রশাসনগুলি। এ বিষয়ে উত্তর কলকাতার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক(ডিইও)দিব্যেন্দু সরকার বলেন, “শিশুদের ভোটদান কক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। মা-বাবা শিশুকে সঙ্গে করে নিয়েই ভোট দিতে পারেন। কমিশনের এই নির্দেশ কীভাবে কর্যকর করা যায় তা দেখা হচ্ছে।” রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিসের এক আধিকারিকের কথায়, রাজ্যে এমন অনেক প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেখানে ‘ক্রেশ’ সম্পর্কে মানুষের সঠিক ধারণা নেই। দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে এমন মা-বাবাদের যাতে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা না হয়, কমিশনের নির্দেশ মতো তা নিশ্চিত করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয় না রাজ্যে, জানাল নির্বাচন কমিশন

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement