অর্ণব আইচ: যেভাবে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেভাবেই মিলল মায়ের দেহও। মাস ছয়েক আগে বেহালার সরশুনায় একটি আবাসন থেকে এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। রবিবার একই আবাসনে মিলল ওই যুবকের মায়ের পচাগলা দেহ। এলাকায় চাঞ্চল্য।
সরশুনার রাখাল মুর্খাজি রোডের এক আবাসনের তিনতলার ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধ। রবিবার সকালে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ১০০ নম্বর ডায়াল করে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সরশুনা থানার পুলিশ। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর স্ত্রী ছায়া চট্টোপাধ্যায়ের পচাগলা দেহ। ঘটনাটি জানাজানি হতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দু’-তিনদিন আগে মারা গিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। সেক্ষেত্রে ওই ফ্ল্যাটের অন্য আবাসিক বা স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু টের পেলেন না কেন? তাঁদের বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর পরিবারের কেউ প্রকৃতিস্থ নন। পাড়ার কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশাও করেন না। তাই কেউ কিছুই টের পাননি। রবীন্দ্রনাথবাবু বা তাঁর মেয়েও কাউকে কিছু জানাননি।
প্রসঙ্গত, মাস ছয়েক আগে সরশুনার ওই আবাসন থেকে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে দেবাশিসের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, মৃত্যুর পর তিনদিন ধরে দেহটি আগলে রেখেছিলেন মৃতার বাবা-মা ও বোন। সেবারও যথারীতি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ছেলের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথবাবু, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। খাওয়াও জোটে না তাঁদের। রবীন্দ্রনাথবাবু নিজেও হয়তো একদিন এভাবেই মারা যাবেন বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[ মাঝেরহাটে নির্মীয়মাণ সেতুর নকশা খতিয়ে দেখতে কলকাতায় তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.