ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনা। বেলেঘাটার (Beleghata) হরমোহন ঘোষ লেনে বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার প্রৌঢ়ার দেহ। স্থানীয়দের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে মেয়ে এবং জামাই তাঁকে খুন করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামাই। বেলেঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অঞ্জলি দে নামে ওই প্রৌঢ়া মেয়ে এবং জামাইয়ের সঙ্গে হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়িতে থাকতেন। শনিবার সকালে ওই বাড়ির সামনেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে বেলেঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কীভাবে প্রৌঢ়ার মৃত্যু হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নিহত ওই প্রৌঢ়ার প্রতিবেশী তরুণীর দাবি, প্রায়দিনই প্রৌঢ়ার সঙ্গে কথা হত তাঁর। সেই সময় নিজের মনের কথা খুলে বলতেন তিনি। জানিয়েছিলেন মেয়ে এবং জামাই তাঁর উপর অত্যাচার করত। বয়স হলেও তাঁকে দিয়ে বাড়ির প্রায় সমস্ত কাজকর্ম করাত বলেও অভিযোগ করেছিলেন প্রৌঢ়া। নিজেদের অত্যাচারের কথা ধামাচাপা দিতে প্রৌঢ়াকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দিতেন না বলেও অভিযোগ।
যদিও প্রৌঢ়ার জামাই অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পারিবারিক বিবাদ নিয়ে অশান্তি চলছিল তা সত্যি। তবে কোনওভাবেই প্রৌঢ়াকে মারধর করা হয়নি। পরিবর্তে স্ত্রী তাঁর মায়ের বেশ যত্ন নিতেন। কোনওভাবেই অত্যাচার করতেন না। তবে প্রৌঢ়ার মৃত্যু যে কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়, তা স্পষ্ট বলেই মত তদন্তকারীদের। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলেই দাবি পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.