ছবি: প্রতীকী।
অভিরূপ দাস: সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেতে দেরি। ফলে সময়মতো শুরু করা গেল না চিকিৎসা। তাতেই মৃত্যু হল ৭৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম বিপুল রাহা। গোটা ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল (NRS Medical College) কলেজে কাজ করা একটি বেসরকারি ল্যাবের দিকে। সুরক্ষা ল্যাবরেটরি নামে ওই ল্যাবটি PPP মডেলে এই হাসপাতালের সিটি স্ক্যানের দায়িত্ব রয়েছে।
হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির দীর্ঘদিন পেট ব্যথা ছিল। সম্প্রতি তলপেটের সিটিস্ক্যান করা হয়েছিল। কিন্তু তার রিপোর্ট আসতেই চার–পাঁচদিন দেরি হয়ে যায়। রোগীর পরিবারের আত্মীয়দের অভিযোগ, যে রিপোর্ট একদিনে চলে আসে তা আসতে চারদিন লেগে যাচ্ছে। নীলরতনে যাঁরা সিটি স্ক্যান করাতে আসেন তারা বলছেন এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট আসতে কখনও কখনও ৭ দিনও লেগে যাচ্ছে। এতে যেমন চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হচ্ছে তেমনই অনেক সময় সুস্থ রোগীও হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারছেন না।
প্রশ্ন উঠছে রিপোর্ট দেরিতে আসার দায় কার? সূত্রের খবর, পিপিপি মডেলে আগে টেস্টের খরচ যা ছিল, তার চেয়ে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার জন্যেই কি এত দেরি হচ্ছে রিপোর্ট আসতে? হাসপাতাল সুপার করবী বড়াল জানিয়েছেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’’ অন্যদিকে, সুরক্ষা ল্যাবরেটরির ম্যানেজার সঞ্জয় ব্রিজলালকা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ পরীক্ষার খরচ কমিয়ে দেওয়ায়। তবে এর জন্য দেরিতে রিপোর্ট মিলছে, এমনটা মানতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খরচ বাড়ে। সরকার এখানে খরচ কমিয়ে দিল। সমস্ত দোষ চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ”এর থেকে একটা অংশ আমরা চিকিৎসকদের দিই। এখন করোনা আবহে অনেক চিকিৎসক ব্যস্ত। কম চিকিৎসক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে।”
এদিকে, প্রয়াত বিপুল রাহার পরিবারের লোকের প্রশ্ন, বাইরে এই টেস্টের অনেক খরচ। সরকারি হাসপাতালে কম খরচে চিকিৎসা করাতে এসে যদি রোগীর প্রাণই চলে যায়, তাহলে আর কী লাভ?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.