অভিরূপ দাস: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশের পরেও কমছে না রেফার রোগ। ফের চার হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল করোনার উপসর্গযুক্ত বৃদ্ধার। পরিবারের সদস্যকে হারিয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
গত পাঁচদিন ধরে শরীর খারাপ ছিল কুঁদঘাটের দিনেশপল্লির শুক্লা নাগের(৬২)। ছিল করোনার একাধিক উপসর্গ। কিন্তু করোনা পরীক্ষাই করতে পারলেন না দক্ষিণ কলকাতার ওই বৃদ্ধা। শহরের চার চারটি হাসপাতাল তাঁকে সাফ জানাল, “এখানে কোভিড টেস্ট হয়না।” অবশেষে সোমবার তাঁকে ভরতি করা হয়েছিল বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর। মৃতের আত্মীয় মধুমিতা রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শরীর খারাপ শুক্লাদেবীর। একজন চিকিৎসক বাড়িতে এসে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ডায়েরিয়া। তবে কোভিড টেস্ট করা প্রয়োজন। যেহেতু এখন কোভিড উপসর্গের মধ্যে ডায়েরিয়াও রয়েছে। কিন্তু একাধিক হাসপাতাল ঘুরলেও কোথাও তাঁর কোভিড টেস্ট করা হয়নি।
মৃতের ভাইয়ের অভিযোগ, গত পাঁচদিন ধরে দিদির শরীর খারাপ। কোভিড টেস্ট করানোর জন্য শুক্রবার প্রথমে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা জানায় সেখানে ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই সেখান থেকে বাঘাযতীনের আইরিশ হাসপাতালে যেতে হয়। সেখানে ওরা বলেন দিদিকে আইসিইউতে রাখতে হবে। কিন্তু টেস্ট করার কোনও ব্যবস্থাই নেই সেখানে। সেখান থেকে রোগীকে নিয়ে পরের গন্তব্য ছিল যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। সকলেই জানিয়ে দেয় টেস্ট করার কোনও ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়েই বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই প্রৌঢ়াকে। মঙ্গলবার সকালে সেই হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে গিয়েছেন শুক্লা দেবীর। ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.