Advertisement
Advertisement
Eight Bengal cops to be honoured on I-Day

তদন্তে অসামান্য সাফল্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পুরস্কার পাচ্ছেন রাজ্যের ৮ পুলিশ আধিকারিক

দেশের মোট ২৮ জন মহিলা তদন্তকারী আধিকারিকও পদক পাচ্ছেন।

Eight Bengal cops to be honoured on I-Day । Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 12, 2022 9:44 pm
  • Updated:August 12, 2022 9:44 pm  

অর্ণব আইচ: কেউ বা তদন্ত করে ধরে ফেলেছিলেন জোড়াবাগানে নৃশংসভাবে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্তদের। আবার কেউ অল্পদিনের মধ্যেই কিনারা করেছিলেন পর্ণশ্রীতে মা ও তাঁর ১৩ বছরের ছেলের খুনের ঘটনার। এবার স্বাধীনতা দিবসের আগে অসামান্য তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মেডেল পেলেন এই রাজ্যের আটজন তদন্তকারী অফিসার। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)। এই বছর ‘ইউনিয়ন হোম মিনিস্টার্স মেডেল ফর এক্সেলেন্স ইন ইনভেস্টিগেশন’ পেলেন ১৫১ জন তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন রয়েছেন সিবিআই, ১১ জন মহারাষ্ট্র পুলিশ, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে দশজন করে, কেরল পুলিশ, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, রাজস্থান পুলিশের আটজন। দেশের মোট ২৮ জন মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক এই পদক পাচ্ছেন।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পর্ণশ্রী থানা এলাকার গোপাল মিশ্র রোডের ফ্ল্যাটে খুন হন গৃহবধূ সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর কিশোর ছেলে তমোজিৎ। সোনার গয়না নিয়ে পালায় অভিযুক্তরা। খুনিরা বিশেষ কোনও ক্লু রেখে যায়নি। শুধু মোবাইল ফোন ও সিসিটিভি ফুটেজ ধরে দুই খুনির সন্ধান পান গোয়েন্দা পুলিশের দুই আধিকারিক হিমাদ্রি চক্রবর্তী ও সোহম চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তার হয় সুস্মিতারই সম্পর্কের দুই ভাই। তাদের মধ্যে একজন জেলে আত্মহত্যাও করে। গত বছর উত্তর কলকাতার জোড়াবাগানের পাঁপড়গলিতে নৃশংসভাবে একটি বাড়ির ভিতর গণধর্ষণের পর গলা কেটে খুন করা হয় এক ন’বছরের নাবালিকাকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাড়ির কী অবস্থা? নিজাম প্যালেসে বসে মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা অনুব্রতর]

তদন্ত করে একদিনের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত বাড়িটির কেয়ারটেকারকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দা অফিসার সন্দীপ প্রামাণিক। এরপর কেয়ারটেকারের ভুয়ো পরিচয়ও মেলে। তাকে জেরা করে সন্ধান মেলে অন্য অভিযুক্ত তার এক সঙ্গীরও। গত বছরই পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটার একটি মন্দিরে গয়না ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছিল। গোয়েন্দা আধিকারিক চন্দ্রনাথ আইচ রায় একশোটির উপর সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করেন।

জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থেকে সাইকেলে করে এসে এই চুরির ঘটনা ঘটায় দুষ্কৃতী। তাকে শনাক্ত করে জীবনতলায় তল্লাশি চালাতে গেলে সে সাঁতার কেটে পুকুর পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবুও তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় পুরো সামগ্রী। রোমানীয় ব্যাংক জালিয়াতির কিনারা করেছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার অমিতকুমার সিং। এই পাঁচ আধিকারিক ছাড়াও রাজ্য পুলিশের আরও তিনজন পুলিশ আধিকারিককে পদক দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারির পরদিনই কম্যান্ড হাসপাতালে অনুব্রত, রয়েছে বহু সমস্যা, চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement