Advertisement
Advertisement
সমাবর্তনে ঘেরাও রাজ্যপাল

‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার DNA পচে গিয়েছে’, ফের ঘেরাও হয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল

না পারলে উপাচার্যকে পদ থেকে সরে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

Education system in Bengal rotten, says Governor Jagdeep Dhankhar

যাদবপুরে রাজ্যপাল

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 24, 2019 11:42 am
  • Updated:December 24, 2019 12:13 pm  

দীপঙ্কর মণ্ডল: আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি করে আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।ঠিক সকাল সাড়ে ১০টায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে তাঁর গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতেই ঘিরে ধরেন তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। তারপর তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর পাশাপাশি গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নিমিষে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পড়ুয়াদের একাংশ সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কটও করেন। পরে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যেতেই শুরু হয় বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান।

JU

Advertisement

 

বাধ্য হয়ে ঘেরাও অবস্থাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশকে ফোন করেন রাজ্যপাল। রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন তাঁকে। গাড়ির কাছে এসে পরিস্থিতি সামলানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু, উপাচার্য জানান, তাঁকেও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এরপরই গাড়িবন্দি অবস্থায় পরপর টুইট করে উপাচার্য ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদম ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন। একমাত্র শেষ টুইটটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ট্যাগ করেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘১৯৭১-এর আগের প্রমাণ-সহ ঘোষ পাত্রী চাই’, বিয়ের বিজ্ঞাপনে হইচই

 

টুইট করেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থাও একদম ভেঙে পড়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকজন আগুন নিয়ে খেলছেন। আর এখানকার উপাচার্য কোনও কাজ করছেন না। তিনি রিমোট কন্ট্রোলে পরিচালিত হচ্ছেন। ফলে পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি। তবে এই ঘটনার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। আজকের ঘটনায় আমি ব্যথিত হয়েছি। আন্দোলনের নামে আমাকে পরিকল্পিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আসলে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার ডিএনএ(DNA) পচে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের জন্যই এটা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এই ঘটনায় আমি খুব চিন্তিত।’

[আরও পড়ুন: লোকসভায় ট্রেলার ছিল, ২০২১ সালে সিনেমা দেখবে তৃণমূল: জেপি নাড্ডা]

 

কিছুক্ষণ বাদে গাড়ি থেকে বিক্ষোভকারীদের মাঝে নেমে আসেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন, ‘রাজ্যের এই অবস্থা দেখে আমি খুব ভীত হয়ে পড়েছি। রাজ্যপাল ছাড়া সমাবর্তন হয় না। এটা জানার পরেও পরিকল্পনা করে গন্ডগোল করা হচ্ছে। রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনের জন্যই এই অবস্থা। আমি ফোন করলে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দেন। উনি ব্যবস্থা নিতে না পারলে সরে যান। দায়িত্ব থাকার মানে কী? স্বল্পসংখ্যক লোক আমাকে বাধা দিচ্ছে। তাদের বলছি আগুন নিয়ে খেলবেন না।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement