Advertisement
Advertisement
পার্থ চট্টোপাধ্যায়

‘বিতর্ক তৈরি করে বাংলার মানুষকেই অপমান করা হচ্ছে’, বিরোধীদের কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর

পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Education minister Partha Chatterjee attacks opposition
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 31, 2020 4:15 pm
  • Updated:May 31, 2020 4:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে করোনার থাবা আবার তার উপর আমফানের তাণ্ডব, দু’য়ের সাঁড়াশি আক্রমণে বিধ্বস্ত বাংলা। আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে তৎপর রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। তবে তা সত্ত্বেও সমালোচনার শেষ নেই। বিরোধীরা বারবার আক্রমণ করছে রাজ্য সরকারকে। সাংবাদিক বৈঠক করে নাম না করে বিরোধীদের জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিতর্ক তৈরি করে বাংলার মানুষকেই অপমান করা হচ্ছে বলেই কটাক্ষ তাঁর। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রকেও দায়ী করেছেন তিনি।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমফানের ধ্বংস ও করোনার মতো মারণ রোগের মোকাবিলা করছে রাজ্য সরকার। ১০০ বছরে কোনও সরকার এমন রোগ এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় একসঙ্গে মোকাবিলা করেনি। কঠিন সংকটের সময় সকলকে নিয়ে কাজ করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আর যাঁরা বিতর্ক তৈরি করছেন, তাঁরা বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকেরাই সব সময় কথা বলেন।” পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে এখন সরগরম রাজনৈতিক মহল। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য কেন্দ্রের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই’ দায়ী করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নোটবাতিল, জিএসটি, লকডাউন প্রতিবার আচমকা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাহীনতায় ভুগছে কেন্দ্র। তাই দায় তাদের নিতেই হবে।” পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্র সমন্বয় করেনি বলে অভিযোগ তাঁর। উল্লেখ্য, ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্কুল-কলেজ মিলিয়ে মোট ৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কর্মী আবাসনে করোনার হানা, নতুন করে আক্রান্ত ৪]

লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি কীভাবে আবারও শিক্ষাঙ্গনগুলিকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো যেতে পারে, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলেই জানান শিক্ষামন্ত্রী। এবার থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র মাস্ক, দূরত্ব বিধি মানা বাধ্যতামূলক। পড়ুয়ারা নিজেদের পেন নিজেরাই ব্যবহার করবে। স্কুল, কলেজ সর্বত্র ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত বিভাগ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। স্থগিত থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে একজন করে বেঞ্চে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান তিনি।

[আরও পড়ুন: ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় মালিকরা, কলকাতার রাস্তায় নামছে না বেসরকারি বাস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement