ছবি: প্রতীকী
দীপালি সেন: কলকাতা হাই কোর্টে শুক্রবার শিক্ষক বদলির প্রসঙ্গ ওঠে। তবে আগেও এই ইস্যুতে কিছুটা উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুক্রবারই নয়া নির্দেশিকা জারি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তার মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল শিক্ষাদপ্তর।
নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যাঁরা নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন তাঁরা বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। কোন কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম, বদলির ক্ষেত্রে তা প্রথমে খতিয়ে দেখা হবে। সেই অনুযায়ী শিক্ষক বদলি করা হবে। অবশ্য কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কেমন, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। তাঁরাই জেলাভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করে কমিশনে জমা দেবেন। সেই অনুযায়ী বদলির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে শিক্ষক বদলি নিয়ে হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে আলোচনা হয়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে এদিনই নতুন গাইডলাইন জারি করতে পারে রাজ্য। শিক্ষাদপ্তরের আইনজীবীকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পরামর্শ দেন, “নতুন নির্দেশিকা আসলেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দ্রুত সেই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি থাকতে বলুন।” এর আগে এই মামলায় রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে একাধিকবার উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বসু।
সেসময় বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে, সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করুন। স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে যাওয়ার বিরোধিতা কোনও শিক্ষক করলে তাঁকে বরখাস্ত করুন। সবাই বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি চাইলে স্কুল চলবে কি করে? ছাত্রের অভাবে স্কুল উঠে যেতে বসেছে এরকম বহু স্কুলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে। আবার প্রচুর ছাত্র আছে কিন্তু শিক্ষক নেই এই পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। আদালত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ ভেবে শঙ্কিত। পরিকাঠামো নেই এধরনের স্কুল উঠিয়ে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অন্যত্র বদলি করা উচিত।” এই ধরনের বিভিন্ন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে বদলি নীতি পরিবর্তন করার অনুরোধ করেছিলেন বিচারপতি বসু। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার বদলি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.