বিধান নস্কর, বিধাননগর: সাতসকালে অ্যাকশনে ইডি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে একসঙ্গে শহরের তিন প্রান্তে হানা তদন্তকারীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিউটাউনে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক ভিটে, টালায় চন্দন লৌহের বাড়ি এবং কালিন্দীর একটি ওষুধের দোকানে চলছে তল্লাশি।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের তদন্তে নেমে আর জি করে ব্যাপক দুর্নীতি হদিশ পায় সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু করে তদন্ত। সহযোগী হিসেবে মাঠে নামে ইডিও। ইতিপূর্বে এই মামলায় সন্দীপের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করেছে সিবিআই। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে এই প্রথম অ্যাকশনে নামল ইডি। দুর্নীতির তথ্য প্রমাণের খোঁজে একসঙ্গে তিন জায়গায় হানা দিল তাঁরা।
এদিন সকালে তদন্তকারীদের একটি দল হানা দেয় হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ার মালিক চন্দন লৌহর টালার ফ্ল্যাটে। সেখান থেকে তাঁর ছেলেকে গাড়িতে চাপিয়ে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে একটি জেরক্সের দোকানে আসেন ইডি আধিকারকিরা। সেই দোকানে ঢুকে মালিকের সঙ্গে ১৫ মিনিট কথাও বলেন। এর পর সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের চন্দন লৌহের বাড়িতে আসেন তাঁরা। সেখানেই চলছে তল্লাশি। এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, টেন্ডার না ডেকেই চন্দনকে হাসপাতালের ক্যাফেটেরিয়ার বরাত দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
টালার পাশাপাশি লেকটাউন কালিন্দীর হাউসিং কমপ্লেক্সের সি-২৮ নম্বর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। এই বাড়িতে অকটেন মেডিক্যাল কোম্পানির অফিস রয়েছে। অভিযোগ, অধ্যক্ষ থাকাকালীন বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কিনত আর জি কর কর্তৃপক্ষ। সেই সমস্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করত এই সংস্থাই। সেখানেই চলছে তল্লাশি।
নিউটাউন সংলগ্ন হাতিয়ারার নোয়াপাড়া মল্লিক বাগানে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়িতে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দিয়েছে। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের মা ও বাবা থাকতেন বলে প্রতিবেশীদের দাবি। তবে আর জি করের ঘটনার পর থেকেই এই বাড়িতে আর কেউই থাকেন না। দুর্নীতির প্রমাণের খোঁজে সেখানেও চলছে তল্লাশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.