সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলে গিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করল ইডি। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত একটানা প্রায় তিনঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, হেঁটেই প্রেসিডেন্সি জেলের জেরাকক্ষে পৌঁছন তিনি। এদিন ইডি’র প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন বলেই খবর।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গত মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ইডি’র জালে ধরা পড়েন প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে মোট ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া অপা ইউটিলিটি সার্ভিস এবং অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড নামে দু’টি সংস্থার খোঁজ মিলেছে। ইডি’র নজরে রয়েছে ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিপুল অঙ্কের এলআইসি। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন এই বিপুল টাকা তাঁর নয়। অথচ সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন, তাঁর ফ্ল্যাটকে মিনি ব্যাংক হিসাবে কাজে লাগিয়েছিলেন পার্থ। বিপুল টাকার মালিক আদতে প্রাক্তন মন্ত্রীই। যদিও এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। টাকার উৎসের খোঁজে ইডি আধিকারিকরা। সে কারণে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে ‘অপা’কে।
আগামী ৩১ আগস্ট জেল হেফাজত শেষ হচ্ছে দু’জনের। তবে নিরাপত্তার কারণে এবার আর সশরীরে নয়, ভারচুয়ালি আদালতে হাজিরার বন্দোবস্ত করা হবে। সূত্রের খবর, সেদিন স্বাভাবিকভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন জানাবেন তাঁর আইনজীবীরা। এদিকে, ফের আদালতে পেশের আগে নতুন নতুন তথ্যের খোঁজে তদন্তকারীরা। সে কারণে শুক্রবার আরও এক দফায় ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সেদিন জামিন পাবেন নাকি ফের বাড়বে জেল হেফাজতের মেয়াদ সেদিকে তাকিয়ে প্রায় সকলেই।
এদিকে জেল সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের পরিবেশের সঙ্গে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে সেভাবে কথাবার্তা বলতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। কেউ কেউ বলছেন, কথা বলার মতো কাউকেই নাকি পাচ্ছেন না তিনি। তাই নিজের মতো বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। শারীরিকভাবে মোটের উপর ঠিকঠাকই রয়েছেন পার্থ। হুইল চেয়ারের পরিবর্তে হেঁটেই ঘোরাফেরা করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.