অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এবার রবি ঠাকুরের উল্লেখ। দুর্নীতির গভীরতা বোঝাতে গিয়ে ইডির আইনজীবীর দাবি, বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে নিঃশব্দে কাঁদছেন কবিগুরু। তাঁর হৃদয় বিদীর্ণ। শনিবার অয়ন শীলের মামলায় সওয়াল জবাব চলাকালীন ইডির আইনজীবীর মুখে উঠে আসে গরু পাচারের কথাও। উল্লেখ্য, অয়নকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অয়নের ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে খোঁজ পেয়েছে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের মামলার শুনানি ছিল এদিন। সেই সওয়াল চলাকালীন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার হাল দেখে নিঃশব্দে কাঁদছেন কবিগুরু। তাঁর হৃদয় বিদীর্ণ।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল জয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর দাবি, এতদিন বিশ্বভারতীর জন্য বিশ্বখ্যাত ছিল বীরভূম। এখন দু’টি ‘C’-এর জন্য বেশি পরিচিত সেই জেলা। দু’টি সি বলতে আদালতে দাঁড়িয়ে দুর্নীতি (Corruption) ও গরু পাচার (Cattle Smuggling)-এর উল্লেখ করেন ইডির আইনজীবী।
ফিরোজ এডুলজির আরও সংযোজন, “কবিগুরু চেয়েছিলেন শিক্ষায় পূর্ব-পশ্চিমের মেলবন্ধন ঘটবে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে দুর্নীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।” আবার গঙ্গার স্রোতবিহীন হওয়ার সঙ্গে বঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার গতিরুদ্ধ হওয়ার তুলনা টেনেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর কথায়, “কেলেঙ্কারি এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা গতিরুদ্ধ হয়েছে।” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, “বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে নরকের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে নিঃশব্দে কাঁদছেন কবিগুরু।”
এদিন আদালতে ইডির দাবি, অয়ন শীলের ৪০টি ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে ৮ কোটির লেনদেনের হদিশ মিলেছে। প্রায় ১ হাজার জনের কাছ থেকে নিয়োগের নামে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই প্রোমোটার। সওয়াল জবাব শেষে অয়নকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.