গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি বিতর্কে এবার কলকাতা হাই কোর্টে নাম উঠল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং কুন্তলকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিবিআই এবং ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদেরই তাঁদের জেরা করা প্রয়োজন বলেই মত তাঁর।
গত ২৯ মার্চ, শহিদ মিনারের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের দিয়ে একসময় জোর করে তাঁর নাম বলানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপরই আদালতে পেশের সময় কুন্তল ঘোষের গলাতেও শোনা যায় একই অভিযোগের সুর। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি অভিষেকের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে। অভিষেকের বয়ান থেকেই কুন্তল সূত্র পেয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিচারপতি। সে কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি আরও বলেন, “এই রাজ্যের একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করছে পুলিশ। বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুর মামলাতেও তদন্তে যুক্ত নেই এমন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এটা এখন অভিযুক্তদের গতে বাঁধা ছক হয়ে দাঁড়িয়েছে।” আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-সিবিআইয়ের কোনও তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ এফআইআর করতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
তাঁর আরও নির্দেশ, কুন্তল ঘোষের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না নিম্ন আদালত ও পুলিশ। এই মামলায় তদন্ত করবে ইডি ও সিবিআই। ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাই কোর্টে। পাশাপাশি, ২১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেন। কুন্তলের সঙ্গে জেলে যাঁরা দেখা করেছেন, তাঁদের নাম যে রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা হয় সেটিও পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.