রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) ভূমিকা রাজনৈতিক দলের মতো। এমনটাই মনে করছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিকভাবে (Political) ব্যবহার করছে বিজেপি, বার বার এই অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। এবার সেই সুরই শোনা গেল হিন্দু মহাসভার (Akhil Bharatiya Hindu Mahasava) রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর গলায়।
তিনি জানিয়েছেন, বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে নবান্ন, রাজ্য বিজেপি (BJP) দপ্তর, এমনকী ইডি, সিবিআই দপ্তরেও যাবে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের চোখে দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলায় ইডি-সিবিআইয়ের ভূমিকা অনেকটা রাজনৈতিক দলের মতোই, কারণ তাঁরা নিরপেক্ষতা ভুলে রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে ব্যস্ত।’’ চন্দ্রচূড়বাবুর বক্তব্য, ‘‘আমরা বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে শুভেচ্ছাবার্তার কার্ড এবং চিঠি, সুস্বাদু মিষ্টান্ন আর বুকভরা ভালোবাসা নিয়ে বিজয়া করতে আসছি নবান্ন প্রশাসনিক ভবন, মতুয়া সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধার ঠাকুরনগর, তৃণমূল রাজ্য অফিস, বিজেপি রাজ্য অফিস, সিপিএম রাজ্য অফিস, কংগ্রেস রাজ্য অফিস, আরএসএস (RSS) ভবন আর ইডি-সিবিআই ভবনেও।’’
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্তভার রয়েছে ইডি-সিবিআইয়ের উপর। আর তাদের সক্রিয়তাও ক্রমশই বাড়ছে। শাসকদলের বরাবরের অভিযোগ, দুর্নীতি নিয়ে নিরপেক্ষ নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ধৃতদের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রী। এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বারবারই অভিযোগ তুলেছেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে সারদা-নারদা মামলার এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয় না। অথচ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের টার্গেট করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আসলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে বলে অভিযোগ। একই সুর শোনা গেল হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতির গলায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.